গাড়ি আমদানি শূন্যের কোঠায়

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ, ২০২০ ০৩:৪৪:১৫

গাড়ি আমদানি শূন্যের কোঠায়

করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরনের গাড়ির আমদানি কার্যক্রম। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতা সঙ্কটে বিক্রিও প্রায় শূন্যের কোঠায়। এ অবস্থায় তারা ব্যাংক ঋণের সুদের চাপ সামাল দিতে নীতি সহায়তা চান। এদিকে আমদানি বন্ধের কারণ দেখিয়ে বাড়তি দাম হাঁকছেন খুচরা যন্ত্রাংশের বিক্রেতারা।

বলা যায়, দেশের অটোমোবাইল খাত পুরোপুরি আমদানি নির্ভর। গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ি আসে জাপান, চীন, জার্মানিসহ কয়েকটি দেশ থেকে। মূলত সংযোজন করা গাড়িই আসে বেশি, তবে বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের যন্ত্রাংশ আমদানি করে স্থানীয়ভাবেও সংযোজিত গাড়ি বাজারজাত করছে দু’একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় গত দুই মাসে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের গাড়ির বাজারে এখনো খুব বড় প্রভাব না পড়লেও ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা আতঙ্কে কমে গেছে ক্রেতাদের আনাগোনা।

মা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন খান বলেন, শিপমেন্টগুলো মার্চ মাসে পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মার্চে আমরা সেটা পাচ্ছি না, আশা করছি এপ্রিলে পেয়ে যাব। এ মুহূর্তে চীনে আমরা কোনো এলসি করছি না।

রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সভাপতি আব্দুল হক বলেন, সব দিক থেকেই আমরা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ব। আমরা আশা করছি সরকার ব্যাংক ঋণের ইনস্টলমেন্টের বিষয়টা দেখবে।

আমদানি নির্ভর লাইট, গ্লাস, সিট কভার বা গাড়ি সাজানোর বিভিন্ন উপকরণের দামও ঊর্ধমুখী। সেইসাথে ছোট-বড় সব ধরনের খুচরা যন্ত্রাংশ বাজারে পাওয়া গেলেও করোনার অজুহাতে ক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি দাম।

গত অর্থবছর বাংলাদেশে শুধু রিকন্ডিশন্ড গাড়িই আমদানি হয়েছে ১২ হাজার ৫০২টি, যা থেকে সরকার রাজস্ব পায় ১ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা।

 প্রজন্মনিউজ২৪/মারুফ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ