তিন লক্ষণে বুঝবেন আপনি করোনায় আক্রান্ত


করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বাড়ছে এতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও। পুরো বিশ্বের সঙ্গে করোনা আতঙ্কে ভুগছে আমাদের দেশও। দেশে ইতোমধ্যে এই রোগে মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। আক্রান্ত মোট সাতাশজন।

সাম্প্রতিক একটি মেডিকেল জার্নালে তিনটি লক্ষণের কথা বলা হয়েছে। যেখান থেকে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার দেহে COVID-19 এর সংক্রমণ শুরু হয়েছে কিনা!

প্রথমত, আপনার দেহে করোনা থাবা বসালে প্রথম পাঁচদিন আপনার কাশির সঙ্গে শুকনো কফ থাকবে।

দ্বিতীয়ত, হঠাৎ করেই খুব জ্বর আসবে। আর সেই জ্বর চট করে নামতে চাইবে না।

তৃতীয়ত, জ্বরের সঙ্গে শুরু হবে শ্বাসকষ্ট। সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে ফুসফুসে। ফুসফুস ফুলে ওঠা থেকে নানারকম সমস্যা দেখা দেবে শরীরে। সেই সঙ্গে সারা শরীরে ব্যথা এবং সর্দি থাকবে।

কীভাবে রক্ষা করবেন

কিছুক্ষণ পরপর ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

কাশির সময় অবশ্যই রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করুন।

অসুস্থ ব্যক্তি বা বয়স্ক, শিশুদের এড়িয়ে চলুন।

এই সময়ে সর্দি-কাশি হলে যা করবেন

বাইরে থেকে বাড়ি গিয়ে গোসল করাটাও কাজের কথা নয়। সারাদিন হালকা গরম পানি খান। গলায় ব্যথা বা সর্দি-কাশির সম্ভাবনা দেখা দিলে তো এই রুটিন চালু করতেই হবে। সেইসঙ্গে জোর দিন ভিটামিন সি খাওয়ার উপরেও। লেবু, আমলকী, পেয়ারায় প্রচুর ভিটামিন সি মিলবে।

আদা দিয়ে কালো চা খাওয়া বা লবঙ্গ, আদা, গোলমরিচ, তেজপাতা ফুটিয়ে নিয়ে চায়ের মতো পান করলে সর্দি-কাশিতে ভালো ফল পাবেন। তাজা শাক-সবজি, ফল, বাদাম রাখুন খাদ্যতালিকায়।

যদি সর্দি-কাশি হয়ই, তা হলে বাড়িতে থাকুন। বিশ্রাম নিন। যেকোনো ভাইরাসের বিরুদ্ধেই শরীর প্রতিরোধ গড়ে তুলবে দ্রুতই, ততদিন অপেক্ষা করতে হবে।

হাঁচি-কাশির সময়ে মুখ-নাক ঢেকে রাখুন যাতে ভাইরাস না ছড়ায়। সেই সঙ্গে বারবার হাত স্যানিটাইজ করবেন। মুখে বা নাকে হাত দেওয়ার অভ্যাস থাকলে সেটা ছাড়তে হবে।

বাড়ির সবার থেকে কয়েকদিন একটু দূরে থাকতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। যারা অসুস্থ রোগীর সেবার কাজ করছেন, তারাও একটু দূরত্ব বজায় রেখে চললেই ভালো করবেন।