ব্যর্থতা আসবেই, আস্থা হারানো মানা


 

আস্থার জোরে মানুষ অসাধ্যকে সাধন করে। আবার আস্থাহীনতাই যোগ্যতম ব্যক্তিকেও অযোগ্য করে তোলে। তাই জীবনে এগিয়ে যাওয়ার পথে নিজের ওপর আস্থা রাখা খুবই জরুরি। নয়তো জীবন নিক্ষিপ্ত হবে ব্যর্থতার আঁস্তকুড়ে। কিন্তু কিভাবে আত্মবিশ্বাস অটুট রাখা যায়, কিভাবেইবা নিজের ওপর থাকা আস্থাহীনতাগুলোকে দূরে রাখা যায়? জীবনের যেকোনও পর্বে নিজের ওপর থেকে নিজের ক্ষমতা, যোগ্যতার আস্থা যেন না কমে যায়, নিজেকে নিয়ে নিজের মধ্যে সন্দেহ যেন না জাগে এজন্য কিছু উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে।

কোনও কাজে সাময়িক ব্যর্থ হলেও নিজের ওপর আস্থা ধরে রাখার এমনই কিছু টিপস পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো:

* নিজের কাজটুকু সুচারুভাবে করে যান। পাশের জন কি করলো কি না করলো তাতে খুব বেশি মাথা ঘামানোর দরকার নেই। নিজের প্রতি গুরুত্ব বাড়ান। অন্যের কাজের সঙ্গে নিজের কাজে তুলনা করবেন না কখনোই।

* ভালো কাজে প্রশংসা যেমন থাকে, বিপরীতে মন্দ কাজে থাকে সমালোচনাও। আবার কখনও কখনও কোনও মহৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার পথে পেছন থেকে নিন্দুকেরা অনেক কথাই বলে। আপনাকে কিংবা আপনার কাজ নিয়ে কে কি বললো তা নিয়ে পড়ে থাকার দরকার নেই।

* একটি শিক্ষণীয় কথা হচ্ছে- ‘মানুষ ভুল থেকে শিক্ষা নেয়’। আপনিও আপনার কাজের মূল্যায়ণ করুন। যদি মনে করেন কোনও কাজে কোথাও ভুল করেছেন তবে সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ধাপে নির্ভুলভাবে পদক্ষেপ নিন।

* উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই মানুষ প্রতিদিন নিজের কাজ সম্পর্কে লিখে রাখে। নিজের ভাবনাগুলোও লিখে রাখে। তাতে করে ভুল থেকে দ্রুত উত্তরণের সুযোগ তৈরি হয়। নিজেকে আরও পরিশুদ্ধভাবে উপস্থাপন করা যায়। এক কথায় দৈনন্দিন কাজকর্ম নিয়ে ডায়েরি লিখার অভ্যেস করুন।

* জীবনে পজেটিভ থাকা খুবই দরকার। মানুষ আশা নিয়েই বেঁচে তাকে। নৈরাশ্যের অন্ধকারে নিজেকে ঠেলে দেয়া যাবে না। তাই প্রতিদিনই ইতিবাচক কিছু করুন। ভালো বই পড়ুন। অনুপ্রেরণামূলক কাজে সময় দিন। তাতে নিজের ওপর দ্রুতই আস্থা বাড়বে।

* বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তির যুগে হাতে থাকা মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের মতো প্রতিটি দিনকেও আপডেট রাখার চেষ্টা করতে হয়। যে বিষয়ে কাজ করছেন কিংবা যে বিষয়ে পড়াশোনা করছেন সে বিষয়টি ভালো করে জানা ও বোঝার চেষ্টা করুন। মনে রাখতে হবে, চেষ্টা ও ইচ্ছে থাকলে মানুষের অসাধ্য কিছু নেই।

* অনেকেই আছেন, ভালো কাজ দেখে নিরুৎসাহিত করেন। হতাশাব্যঞ্জক কথা বলেন। এ ধরনের মানুষের সংস্পর্শ থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন। সবসময় কর্মোদ্যমী হয়ে বাঁচুন।