অর্থের অভাবে অকালে দু'চোখের আলো নিভতে চলেছে শিক্ষার্থীর


গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অর্থাভাবে ধীরে ধীরে দু'চোখের আলোই নিভতে চলেছে এক শিক্ষার্থীর। একই সাথে হারিয়ে যাচ্ছে তার সুন্দর এ ভূবণ এর স্বপ্ন।           

জানা গেছে, উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলের তিস্তা তীরবর্তী তালুক বেলকা গ্রামের হায়দার আলী সরকারের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে সোহেল সরকার রানা (১৫)। জন্মের পর থেকেই বাম চোখ একটু ছোট হওয়ায় কম দেখতে পেত।

জন্মের বছর চারেক পর বাবা হায়দার আলী তা জানতে পেয়ে স্থানীয় চিকিৎসক, উলিপুর মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালসহ রংপুরের বিভিন্ন চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা চলার পরেও বাম চোখের কোন উন্নতি হয়নি। এমনকি এক পর্যায়ে তার ডান চোখেও এর প্রভাব পড়ে। ফলে বিত্তহীন বাবা দিশেহারা হয়ে শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে ঢাকার ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু ইন্সটিটিউট হাসপাতালে বিগত বছরের মার্চ মাসে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।

অপারেশনের প্রস্তুতি নেয়ার সময় অন্যান্য পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে গেলে তার কিডনীজনিত সমস্যা ধরা পড়ে। যাকে বলে, "মরার উপর খরার ঘা!" উপায়ন্তর না পেয়ে নিঃস্ব বাবা হায়দার আলী ওই মাসেই জাতীয় কিডনী ইন্সটিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করান সোহেলকে। ওই হাসপাতালে ৩ দিন চিকিৎসার পর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজ ও  হাসপাতালের (রমেক) কিডনী বিভাগে চিকিৎসার পরামর্শ দেন।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনী বিভাগে কয়েক মাস চিকিৎসার পর কিডনীজনিত সমস্যা নিরাময় হলে সোহেল সরকার রানাকে পুনরায় দুু'চোখের অপারেশনের জন্য ঢাকার ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু ইন্সটিটিউট হাসপাতালের রেটিনা বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসক মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল মালেক'র তত্ত্বাবধানে বাম চোখের অপারেশন করার চারমাস পরে দ্বিতীয় বার ওই চোখে।

প্রজন্মনিউজ২৪/রেজাউল