“বছরের মার্চ পর্যন্ত সব তাফসির কর্মসূচি স্থগিত: আযহারী”


দেশের আলোচিত ও জনপ্রিয় বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী এ বছরের মার্চ পর্যন্ত সব তাফসির কর্মসূচি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ সময়ে গবেষণার কাজে তিনি মালয়েশিয়ায় চলে যাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বার্তায় এ  তথ্যই তিনি জানান।

নিচে তার ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হয়েছে–

আস্সালামু ‘আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ.. প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা___

পারিপার্শ্বিক কিছু কারণে, এখানেই এ বছরের তাফসির প্রোগ্রামের ইতি টানতে হচ্ছে। তাই মার্চ পর্যন্ত আমার বাকি প্রোগ্রামগুলো স্থগিত করা হলো। রিসার্চের কাজে আবারও মালয়েশিয়া ফিরে যাচ্ছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সুযোগ করে দিলে, আবারও দেখা হবে এবং কথা হবে কোরআনের মাহফিলে ইনশাআল্লাহ।

এ বছর বেশিরভাগ প্রোগ্রামই পারিবারিক ও সামাজিক ক্রাইসিস নিয়ে কথা বলেছি, পাশাপাশি কয়েকটি সুরার তাফসিরও করেছি। আশা করি, আলোচনাগুলো থেকে আপনারা উপকৃত হবেন। পরিবারের সবাই মিলে আলোচনাগুলো শুনুন এবং কথাগুলো বাস্তব জীবনে মেনে চলার চেষ্টা করুন। তা হলে দেখবেন ধীরে ধীরে, আমাদের পরিবার ও সমাজ সুখময় এবং শান্তিময় হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ।

আমি একজন নগণ্য মানুষ। মহাগ্রন্থ আল কোরআনের ছাত্র। কোরআনের ছাত্র হয়েই বেঁচে থাকতে চাই এবং নিরলস কাজ করে যেতে চাই। তাই সুপ্রিয় শ্রোতাদের বলব– প্লিজ আমাকে নিয়ে অতিরিক্ত মাতামাতি করবেন না। আমাকে জড়িয়ে কোনো ব্যাপারে কাউকে গালাগাল করবেন না, অন্য কোনো মতাদর্শের আলেমদের হেয় বা ছোট করে কিছু বলতে যাবেন না। যদিও তাদের কেউ কখনও আমাকে ছোট করে কথা বলে। অনুরূপভাবে, কোথাও আমাকে ডিফেন্ড করে তর্ক বা কমেন্ট করতে চাইলে, ভদ্রতা বজায় রেখে, যৌক্তিকভাবে এবং বিনয়ের সাথে সেটা করুন। সত্য একদিন উন্মোচিত হবেই হবে ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহতায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে, দেশের আপামর জনতার যে ভালোবাসা পেয়েছি, জানি না সিজদায় পড়ে কতটুকু অশ্রু ঝরালে এবং কোন ভাষায় শোকরগোজার হলে এর যথাযথ শুকরিয়া আদায় হবে। মালিকের দরবারে আলিশানে লাখো কোটি শুকর ও সুজুদ। ওয়ালহামদু লিল্লাহি ‘আলান্নি’আম।

প্রোগ্রামগুলো বাস্তবায়নে যারা সার্বিক সহযোগিতা করেছেন, তাদের সবার জন্য রইল আন্তরিক ভালোবাসা ও দোয়া। বিশেষ করে পুলিশ, প্রশাসন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রোগ্রামগুলো সুন্দরভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। তাদের আল্লাহতায়ালা উত্তম প্রতিদান দান করুক।

আমার এ জীবনের ছোট্ট অভিজ্ঞতায় যা দেখলাম, সেটি হলো– আমরা আমাদের জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য সময় কাটিয়ে দিই অন্যকে হিংসা করতে করতে। নিজেরা কাজ না করে অন্যের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে আমরা মহাব্যস্ত। আসলে অপপ্রচার করে তেমন কোলো লাভ নেই। অপপ্রচারে আমি কখন মনঃক্ষুণ্ন হই না। আমার বিশ্বাস আপনারাও হবেন না। কারণ অপপ্রচারগুলোই আমাদের প্রচারণার দায়িত্ব পালন করেছে

আলহামদুলিল্লাহ। হক্বের পথে বাঁধা, বিপত্তি আসবেই। এটাই স্বাভাবিক। যে পথে কাঁটা নেই সেটা পথ নয়; সেটা কার্পেট। আর কার্পেটে হেঁটে মজলিশে পৌঁছানো যায়, মনজিলে নয়।

মন্তব্য কখনও গন্তব্য ঠেকাতে পারে না।

তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লাহ...

প্রজন্মনিউজ২৪/ফরহাদ