১০৮ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে


রজনীকান্ত সর্বশেষ সিনেমা ‘দরবার’-এর জন্য পারিশ্রমিক নেন ১০৮ কোটি রুপি। এবার ছবির লোকসানের মুখে দিতে হচ্ছে ক্ষতিপূরণ।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, চেন্নাইয়ে একদল ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটর বা পরিবেশকের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠকে বসেন এই সুপারস্টার। বৈঠকের বিষয়- এই ছবির বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পতন।

লাইকা প্রোডাকশনস প্রযোজিত ‘দরবার’ মুক্তি পায় বছরের গোড়ার দিকে। এই প্রথম একসঙ্গে কাজ করেছেন কিংবদন্তি তামিল সুপারস্টার এবং ‘গজিনী’-খ্যাত পরিচালক এ আর মুরুগাদস।

ভাবা হয়েছিল, সবরকম বক্স-অফিস রেকর্ড ভেঙে তছনছ করে দেবে এই ছবি। অথচ বাস্তবে দেখা গেল, ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন প্রযোজক ও ডিস্ট্রিবিউটররা। যে পরিমাণ টিকিট বিক্রি হবে বলে ভাবা গিয়েছিল, তার সিকিভাগও হয়নি।

ক্ষিপ্ত ডিস্ট্রিবিউটররা তাদের আর্থিক ক্ষতির একটি তালিকা প্রস্তুত করেছেন, যা তারা বৈঠকে ধরিয়ে দেন রজনীকান্তের হাতে। তবে মিডিয়াকে দেখানো হয়নি সেই চিঠি।

প্রযোজক ও ডিস্ট্রিবিউটর জি ধনঞ্জয়নের কথায়, “যদি ক্ষতির পরিমাণ সাধ্যের মধ্যে হয়, ধরুন ১০ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে, তাহলে আমরা বুঝি। কিন্তু তার বেশি লোকসান হলে ম্যানেজ করা খুব কঠিন হয়ে যায়।”

অতীতেও নিজের ছবি বড় রকমের ফ্লপ করলে ডিস্ট্রিবিউটরদের টাকা ফেরত দিয়েছেন রজনীকান্ত। ২০১৪ সালে ‘লিঙ্গা’ এবং ২০০২ সালে ‘বাবা’ চলেনি একেবারেই, যার ফলে ডিস্ট্রিবিউটর এবং প্রদর্শকদের লোকসানের ক্ষতিপূরণ দেন এই মহাতারকা।

জনপ্রিয় ফিল্ম পরিবেশক তিরুপুর সুব্রামনিয়াম বলেন, “আমাদের হিরোরা যদি কাজের জন্য বেতন না নিয়ে লাভের অংশ নিতেন, তাহলেই কোনো অসুবিধা হতো না। হিন্দি ছবির অসংখ্য অভিনেতা ছবির লাভের একটা অংশ নেন পারিশ্রমিক হিসেবে। ইংরেজি ছবিতেও কোনো নির্দিষ্ট বেতন নেই। প্রফিট হলে ৬০ শতাংশ নেবেন হিরো, ৪০ শতাংশ যাবে প্রযোজকের কাছে।”

তার বক্তব্য, একমাত্র তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই অভিনেতারা পুরো টাকা দাবি করেন, ছবি চলুক বা না চলুক।