ব্যাটিং উইকেটে বাংলাদেশ থামল মাত্র ১৪১ রানে


দুই ওপেনার তামিম ইকবাল আর মোহাম্মদ নাইম শেখ বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। কিন্তু সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে পুঁজিটাকে বড় করতে পারলেন না পরের ব্যাটসম্যানরা।

লাহোরে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫ উইকেটে ১৪১ রানেই থেমেছে বাংলাদেশের ইনিংস। অথচ ১১ ওভারের উদ্বোধনী জুটিতে বিনা উইকেটেই ওঠেছিল ৭১ রান।

টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বেশ সাবধানী শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল আর নাইম শেখ। পাওয়ার প্লে'র প্রথম ৬ ওভারে ছয়ের নিচে রানরেটে তারা তুলেন মোটে ৩৫ রান।

তামিম-নাইমের এই জুটিকে বিপদে ফেলতে পারছিলেন না পাকিস্তানি বোলাররা। দেখেশুনে খেলে ১০ ওভারে তারা জমা করেন ৬২ রান। তবে সমস্যা একটাই, ঠিক টি-টোয়েন্টির গতিতে রান উঠছিল না।

সেই চাপ থেকেই বোধ হয় ১১তম ওভারের শেষ বলে ডিপ স্কয়ারে ঠেলেই দ্রুত দুই রান নিতে গিয়েছিলেন তামিম। রওফের থ্রোয়ে স্ট্রাইকিং এন্ডে ফেরার আগেই রানআউট হন এই ওপেনার, ৩৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় করেন ৩৯ রান।

এরপর ২১ বলে ২৭ রানের ছোট এক জুটি নাইম-লিটনের। শাদাব খানের করা ১৫তম ওভারে এই দুই ব্যাটসম্যানকেই হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ওভারের তৃতীয় বলে ডাবল নিতে গিয়ে তামিমের মতই রানআউটে কাটা পড়েন লিটন দাস।

লং অফে শাদাব নিজেই দৌড়ে গিয়ে বল ধরেন, সরাসরি থ্রোতে সাজঘরে ফেরান ১৩ বলে ১২ রান করা লিটনকে। পরের বলে সেট ব্যাটসম্যান নাইমকেও লংঅনে ক্যাচ বানান এই লেগস্পিনার। ৪১ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় নাইম তখন ৪৩ রানে।

তারপরও হাতে ৭ উইকেট ছিল। বড় পুঁজি গড়ার সুযোগ ছিল টাইগারদের। কিন্তু পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পরের ব্যাটসম্যানরা সেভাবে হাত খুলে খেলতে পারেননি। ১৮তম ওভারে হারিস রউফ বোল্ড করেন আফিফ হোসেনকে (১০ বলে ৯)। পরের ওভারে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে বোল্ড সৌম্য সরকারও (৫ বলে ৭)।

১৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১০০ রান পূরণ করা বাংলাদেশ শেষ ৫ ওভারে তুলতে পেরেছে মাত্র ৪১ রান। মাহমুদউল্লাহ ১৪ বলে ১৯ আর মোহাম্মদ মিঠুন ৩ বলে ৫ রানে অপরাজিত থাকেন।পাকিস্তানের পক্ষে একটি করে উইকেট নিয়েছেন শাহীন আফ্রিদি, শাদাব খান আর হারিস রউফ।

প্রজন্মনিউজ২৪/নাজিম উদ্দীন