সবার শীর্ষে এখন রাজশাহী


দলের প্রয়োজনীয় সময়ে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন লিটন দাস। তার খেলা ৪৮ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কার মারে ৭৫ রানের ইনিংসে ভর করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে উঠে এলো রাজশাহী রাজশাহী রয়্যালস।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান করে। জবাবে রাজশাহী ১৪ বল বাকি থাকতে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে লীগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

আগে ব্যাট করা চট্টগ্রামের হয়ে ধীরগতির শুরু করেন দুই ওপেনার ক্রিস গেইল ও জুনায়েদ সিদ্দিকী। উইকেটেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি এই দুইজন। ২১ বলে ২৩ রান করে গেইল ও ২৩ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান জুনায়েদ।

এরপর খুব বেশিক্ষণ উইকেটে স্থায়ী হননি ইমরুল কায়েস ও কেশরিক ওয়ালটন। শেষদিকে নুরুল হোসেন সোহানকে নিয়ে চট্টগ্রামের সংগ্রহটা দেড়শ পার করেন রিয়াদ। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন রিয়াদ। আর ৪ চার ও ১ ছক্কায় ১৭ বলে ৩০ রান করেন সোহান। শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে ১৫৫ রান তোলে সাগর পাড়ের দলটি।

মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নামা রাজশাহীকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন লিটন দাস। আফিফ হোসেন ধ্রুবর সঙ্গে ৮৮ রানের জুটি গড়ে তিনি দলকে শক্ত ভিত এনে দেন। আফিফ ৩২ রান করে নাসুম আহমেদের বলে চ্যাডউইক ওয়ালটনের হাতে ধরা পড়লে এই জুটি ভাঙে। এরপর শোয়েব মালিকের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়ে পদ্মা পাড়ের দলের জয়কে সহজ করে তোলেন লিটন।

রাজশাহীর জয়ের জন্য যখন মাত্র ১৮ রান দরকার; তখন জিয়াউর রহমানের বলে লেগ বিফোরের শিকার হয়ে লিটন ফেরেন। বাকি কাজটুকু ২৫ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কার মারে ৪৩ রান করা শোয়েব মালিক সেরে ফেলেন। আন্দ্রে রাসেল ২ রানে অপরাজিত ছিলেন।

রাজশাহী ও চট্টগ্রাম তাদের লীগের সব ম্যাচ খেলে ফেলেছে। উভয় দলের পয়েন্ট ১৬ হলেও রানরেটে এগিয়ে থাকায় এখন শীর্ষে রাজশাহী রয়্যালস এবং দুই নম্বরে আছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। খানিক পর লীগ পর্বের শেষ ম্যাচে খেলতে নামবে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে খাকা খুলনা টাইগার্স এবং সমান পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে পিছিয়ে থাকায় চতুর্থ স্থানে থাকা ঢাকা প্লাটুন।

প্রজন্মনিউজ২৪/রেজাউল