পুলিশের গুলিতে পা হারানো ইসরাফিলের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ০৬ জানুয়ারী, ২০২০ ০৪:১১:৫১ || পরিবর্তিত: ০৬ জানুয়ারী, ২০২০ ০৪:১১:৫১

পুলিশের গুলিতে পা হারানো ইসরাফিলের সংবাদ সম্মেলন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ঢোলভাঙ্গা পূর্ব বাসস্ট্যান্ডে গতকাল ৫ জানুয়ারী রবিবার দুপুরে গত ২০১৯ সালের  ২৯ জানুয়ারী  রাতে পলাশবাড়ী থানা পুলিশের গুলিতে পা হারনো ইসরাফিল হোসেন (কিনু) এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের গুলিতে পা হারানোর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবী করেছেন।সংবাদ সম্মেলনে পলাশবাড়ী উপজেলার ঢোলভাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল ছাত্তারের ছেলে ইসরাফিল হোসেন (কিনু) লিখিত বক্তবে জানান, আমি পেশায় একজন মুরগির ব্যবসায়ী।

গত ২৯/০১/২০১৯ ইং তারিখে অনুমানিক সকাল ১০ ঘটিকা হইতে ঢোলভাঙ্গা বাজারে জাহাঙ্গীরের ফলের দোকানের সামন হইতে পলাশবাড়ী থানার কর্মরত এ.এস.আই মাইদুল সহ আরও একজন কনস্টেবল সিভিল পোশাকে আমাকে এসে কোন গ্রেফতারি পরোয়ানা না দেখিয়ে জোর পূর্বক মটর সাইকেল যোগে পলাশবাড়ী থানায় নিয়ে যায়।

থানায় নিয়ে যাওয়ার পরে থানা পুলিশ অর্থ দাবি করে। আমি তাদের দাবি কৃত অর্থ না দিতে পারলে তারা আমাকে অমানবিক নির্যাতন করে এবং ওই রাত্রে ১২টার পর আমাকে থানার হাজত খানা থেকে বেড় করে দুই হাতের পিছনে হেকনাফ লাগিয়ে ফুল প্যান্ট ও মুজা খুলে লুঙ্গি পড়ায় চোখ বাধে এবং বুকে বেল্ট পড়ায় থানার দোতালা থেকে নামিয়ে আমাকে একটি গাড়িতে ওঠায়। গাড়িটি কিছুদুর যাওয়ার পর গাড়ি থেকে আমাকে নামায়।

এবং পিছন দিক থেকে আমার হাটু বরাবর বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ডান পায়ে হাটুর নিচে গুলি করে। আমি সাথে সাথে চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। পরবর্তিতে আমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল পরে অবস্থার অবনতি হলে আমাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজে স্থানন্তর করে।

এবং সেখানে আমার ডান পাটি হাটুর উপর থেকে কেটে ফেলে আমি পঙ্গুত্ব বরন করি। পরবর্তীতে আমাকে বিজ্ঞ আদালত জামিনে মুক্তি প্রদান করে।আরো জানান,জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর আমি গত ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ  পলাশবাড়ী থানার এ.এস.আই মাইদুল সহ ১১ জনকে আসামী করে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।

মামলা নাম্বার-সি আর/ ৬২/১৯। মামলাটি আদালত করার পর তদন্তের জন্য পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করেন। দায়িত্বরত তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও অধিকতর তদন্তের জন্য বিজ্ঞ আদালতে সুপারিশ করেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত সুষ্ঠ তদন্তের জন্য জেলা আনসার অ্যাডজুটেন্টকে আদেশ দেন। বিষয়টি তদন্তাদিন রয়েছে ।

আমি বর্তমানে বঙ্গুত্ব বরন করে পরিবার নিয়ে অসহায় ভাবে জীবন যাপন করছি। এমতাবস্থায় এই মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য পলাশবাড়ী থানার এ.এস.আই মাইদুল ইসলাম বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি এবং মেরেফেলার হুমকি প্রদান করে আসছেন।

বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার বর্তমান এই অবস্থা আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম উপরোক্ত ঘটনার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের জন্য  আপনাদের মাধ্যমে আমি মাননীয় আইন মন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনের এসময় পুলিশের গুলিতে পা হারনো ইসরাফিল হোসেন (কিনু) পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রজন্মনিউজ২৪/হোসাইন/জাহিদ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ