তেহরানে সোলাইমানির জানাজায় লাখো জনতার ঢল

প্রকাশিত: ০৬ জানুয়ারী, ২০২০ ০৪:০২:৩৭ || পরিবর্তিত: ০৬ জানুয়ারী, ২০২০ ০৪:০২:৩৭

তেহরানে সোলাইমানির জানাজায় লাখো জনতার ঢল

মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিসহ নিহত সবার জানাজা পড়ালেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।

সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় সোলাইমানির মরদহের প্রতি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা শেষে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিসহ অন্যান্য বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে যখন সোলেইমানির মরদেহ ইনকিলাব চত্বরে পৌঁছায় তখন লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে রূপ নেয় তেহরান।

পরে সেখান থেকে তার মরদেহ তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি নিহত এই জেনারেলের জানাজায় নেতৃত্ব দেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানাজার সরাসরি সম্প্রচার করে।

পার্সটুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাখ লাখ জনতা নিয়ে সোলাইমানির জানাজা পড়ান আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। এসময় তার চোখে পানি দেখা গেছে। এর আগে জানাযায় অংশ নিতে ভোররাত থেকে লাখ লাখ মানুষ তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আসতে থাকেন।

এ সময় জনতার হাতে জেনারেল সোলাইমানি ও আবু মাহদি আল-মুহানদিসের ছবি শোভা পাচ্ছিল। তারা ‘আমেরিকা ধ্বংস হোক’, ‘ইসরাইল নিপাত যাক’, ‘আমার ভাইকে যারা মেরেছে তাদেরকে হত্যা করব’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে অনেকে নিজেদের শিশুসন্তান নিয়ে জানাজায় অংশ নেন।

জানাজা অনুষ্ঠানে নিহত এই জেনারেলের মেয়ে জয়নাব সোলাইমানি বলেন, তার বাবার মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের জন্য কালো অধ্যায় ডেকে আনবে। উন্মত্ত ট্রাম্প যেন মনে না করেন যে, আমার বাবার মৃত্যুর মাধ্যমে সবকিছু শেষ হয়েছে।

তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে জানাজার নামাজ শেষে ইরাকে মার্কিন হামলায় নিহত সোলাইমানিসহ বাকি সেনা কর্মকর্তাদের মরদেহ ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে ধর্মীয় নগরী কোমে নেয়া হবে। কোম নগরীতে সোলাইমানির জানাজার নামাজ শেষে তার জন্মস্থান কেরমান প্রদেশে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই তার শেষ জানাজার নামাজ শেষে দাফন করা হবে।

শুক্রবার ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের কুদস্ ফোর্স কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মৃত্যু হয়। এসময় তার সঙ্গে থাকা ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহাদি আল-মুহান্দিসসহ অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়।

প্রজন্মানিউজ২৪/জাহিদ

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ