নাগরিকত্ব আইন নিয়ে পিছু হটবে না সরকার: অমিত শাহ


ব্যাপক বিক্ষোভ সত্ত্বেও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে পিছু হটতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রতিবেশি দেশগুলোতে নিপীড়িত শরণার্থীদের রক্ষায় কেন্দ্র সরকার সবকিছু করবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। মঙ্গলবার দিল্লির দারকায় এক নির্বাচনি সমাবেশে এসব কথা বলেছেন তিনি। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব নিশ্চিতে সম্প্রতি আইন সংশোধন করেছে ভারত।

গত ১২ ডিসেম্বর রাতে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের পরেই আইনে পরিণত হয়েছে বিতর্কিত বিলটি। এই বিতর্কিত আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশজুড়ে সরব একাধিক রাজনৈতিক দল। বিরোধীরা এই আইনকে ‘মুসলিমবিরোধী’ বলে আখ্যা দিয়েছে। চলছে দফায় দফায় আন্দোলন। ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি’র সভাপতি অমিত শাহ মঙ্গলবার বলেন, ‘যা কিছুই ঘটুক মোদি সরকার এসব শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব ও ভারতীয়দের মতো সম্মান নিশ্চিত করবে’।

নতুন নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে আসা সব অমুসলিম শরণার্থী ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবে। এই আইনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে তীব্র প্রতিরোধ হচ্ছে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে। সেখানকার বাসিন্দাদের আশঙ্কা আইনের কারণে এসব এলাকায় শরণার্থীদের ঢল নামবে। বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের কারণে কেউ তাদের জাতীয়তা হারাবে না।

তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থী ও মুসলমান ভাই-বোনদের বলতে চাই, ভয়ের কিছু নেই। কেউ ভারতের নাগরিকত্ব হারাবে না। ওয়েবসাইট থেকে আইনটি যেকেউ পড়তে পারে। আমরা বিশ্বাস করি সবার সাথে, সবার বিকাশে আর কারও সঙ্গেই অন্যায় করা হবে না’। বিরোধী দল কংগ্রেস মানুষকে ভুল পথে প্ররোচিত করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনটির মূল লক্ষ্য হলো পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে নিপীড়নের মুখে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, নেহরু-লিয়াকত চুক্তি অনুযায়ী এসব মানুষদের যদি সুরক্ষা দেওয়া যেত তাহলে এসব ঘটতো না। হিন্দু, শিখ ও অন্য সংখ্যালঘু শরণার্থীরা যদি ভারতে জায়গা না পায় তাহলে তারা কোথায় যাবে?

প্রজন্মনিউজ২৪/ মামুন