রুম্পার বন্ধু সৈকতের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর


স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইংরেজি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যুর ঘটনায় তার ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ আবদুর রহমান সৈকতের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার বিকেলে মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদ এই রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এদিন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে।

এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে সৈকতকে গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে আদালতে পাঠানো হয়। গতকাল শনিবার সৈকতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ তাকে রমনা থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরীর সার্কুলার রোডের ৬৪/৪ নম্বর বাসার নিচে অজ্ঞাত মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা হত্যার আলামত সংগ্রহ করেন। সুরতহালে পুলিশ গুরুতর কিছু ইনজুরি পায়। সংগৃহীত আলামত ফরেনসিকে পাঠায়। ওই ঘটনার পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে।

ময়নাতদন্ত শেষে ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ড. সোহেল মাহমুদ জানান, নিহত তরুণীর হাত, পা, কোমরসহ শরীরের কয়েক জায়গায় ভাঙা ছিল। মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে স্পষ্ট হবে। আর ভবন থেকে পড়ে মারা যাবার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি-না? তা জানতে আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর সে বিষয়েও নিশ্চিত হওয়া যাবে।

নিহত রুম্পার বাবার নাম রোকন উদ্দিন। তিনি হবিগঞ্জ এলাকায় পুলিশ ইনসপেক্টর হিসেবে কর্মরত। রুম্পার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায় হলেও রাজধানীর মালিবাগের শান্তিবাগ এলাকায় থাকতেন।

প্রজন্মনিউজ২৪/জাহিদ