ব্রিটেনে চতুর্থবার এমপি হতে চাই রুশনারা

প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১০:৩১:০৩ || পরিবর্তিত: ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১০:৩১:০৩

ব্রিটেনে চতুর্থবার এমপি হতে চাই রুশনারা

সিলেট প্রতিনিধি: ব্রিটেনে সিলেটের রুশনারা আলী চতুর্থবার এমপি নির্বাচিত হতে আশাবাদী রুশনারা আলী ২০১০ সালে এমপি নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে ব্রিটিশ মূলধারার রাজনীতিতে প্রথম বাঙালির অভিষেক হয়। ১৯৭৫ সালে সিলেট জেলার বিশ্বনাথে জন্ম নেওয়া রুশনারা মাত্র সাত বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে অভিবাসিত হন।

টাওয়ার হ্যামলেটে বেড়ে ওঠা রুশনারা মালবারি স্কুল ও টাওয়ার হ্যামলেট কলেজে লেখাপড়া শেষে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট জনস কলেজে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেন। তার পর জড়িয়ে পড়েন ব্রিটিশ রাজনীতিতে। এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকে সাবেক এমপি ওনা কিংয়ের ক্যাম্পেইনের অন্যতম দায়িত্বে ছিলেন রুশনারা আলী।

ফলে বেথনাল গ্রিন-বো আসনটির নাড়ি-নক্ষত্র ছিল তার হাতের মুঠোয়। লেবার পার্টির নমিনেশন পেতে প্রায় ৫০ প্রতিদ্বন্দ্বীকে ডিঙাতে হয়। হাউস অব কমনসে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২০১০ সালে তিনি নির্বাচিত হন ১১ হাজার ৫৭৪ ভোট বেশি পেয়ে। সে সময় ব্রিটেনে মুসলিম এমপিদের মধ্যে দৃষ্টি কাড়েন রুশনারা আলী। বেশ সুনামের সঙ্গেই কাজ করে চলেছেন।

ব্রিটেনের রেমিট্যান্স-বিষয়ক সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ২০১৫ সালে ১৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। ২০১৭ সালের নির্বাচনে কনজারভেটিভ প্রার্থীকে ৩৫ হাজার ৩৯৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। তার প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪২ হাজার ৯৬৯। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অ্যালেক ভোট পান ৭ হাজার ৫৭৬।

রাজনীতিতে আসার বিষয়ে রুশনারা আলী বলেন, ২০০৫ সাল থেকে বেথনাল গ্রিনে অবস্থিত ইয়ং ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক হয়ে সামাজিক বিষয়ে আলোকপাত করি। একই সঙ্গে টাওয়ার হ্যামলেটস সামার বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সদস্য, লন্ডন শিশু দারিদ্র্য কমিশনের একজন কমিশনার, টাওয়ার হ্যামলেট কলেজের বোর্ড সদস্য, পল হ্যাম্পটাইন ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি ও টেট ব্রিটেন কাউন্সিলের কাউন্সেলর হিসেবে কাজ করি।

সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কাজ করতে করতে মনে হলো মানুষের জন্য কাজ করতে হলে অনেক দূর এগোতে হবে। সেই ভাবনা থেকে লেবার পার্টির সঙ্গে যুক্ত হই। এই এলাকায় দীর্ঘ ৪০ বছর সাংসদ ছিলেন লেবার দলের পিটার শো। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের একজন অকৃত্রিম বন্ধু। তার প্রেরণায় আজকে আমি রুশনারা আলী। এ পর্যন্ত আসতে মা-বাবা ও পরিবারের সবার সহযোগিতা পেয়েছি।

তরুণদের বিষয়ে বলেন, তাদের সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বাড়ানো ও গণতান্ত্রিক কর্মকান্ডে সক্রিয় করতেই তার এই প্রচার। গত তিনটি নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে রুশনারা আলী বলেন, এমপি নির্বাচিত হয়েই দল ক্ষমতায় না থাকলেও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও শিক্ষাবিষয়ক ছায়ামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছি।

পার্লামেন্টারি ট্রেজারি সিলেক্ট কমিটির সদস্য হিসেবে মেয়াদ পূর্ণ করেছি। সব বিষয়ে কাজ করে চলেছি। আমি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সংসদে যাই। বর্তমানে আমরা তিনজন। এবারের নির্বাচনে লেবার, কনজারভেটিভ ও লিবারেল ডেমোক্র্যাট থেকে অনেকেই মনোনয়ন পেয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মেধাবী, সম্ভাবনাময় প্রার্থীও রয়েছেন। বেশ কয়েক জন বিজয়ী হবেন বলে আশা করছি।

নিজের নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে বেশ আশাবাদী রুশনারা। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে রুশনারা আলী বলেন, নিজের শেকড়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা প্রত্যকের জন্য জরুরি। কাজটি অনেক কঠিন হলেও তা রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিকড় এবং মূল্যবোধকে ভুলে যাইনি। বাংলাদেশ আমার হৃদয়ে আছে, থাকবে। সুযোগ পেলে বাংলাদেশের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি।

প্রজন্মনিউজ২৪/আঃমান্নান/নুরুজ্জামান

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ