না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিতুমীরের ক্যান্সারে আক্রান্ত সেই সাদিয়া


তিতুমীর কলেজের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন।শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ভোর চারটায় উত্তরায় নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাদিয়া।গত ২০১৮ সালে মে মাসে পরীক্ষার কেন্দ্রে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে উত্তরা মহিলা মেডিকেল ও পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয় সাদিয়াকে।

দীর্ঘদিন সেখানে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে অবস্থার আরও অবনতি হলে উত্তরার আর এম সি হাসপাতালে জরুরি অপারেশন করা হয়। অপারেশনে কোলন ক্যান্সার ধরা পড়ে। মাঝে কিছুদিন ভাল ছিলও সাদিয়া। নিয়মিত নিজের ক্লাস ও টিউশনিও করেছেন। কিন্তু ফের রমজানের আগে আবার ব্যথা শুরু হলে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওই হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা: মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বিদ্যুতের তত্ত্বাবধানে দীর্ঘদিন আলোক হাসপাতালে সাদিয়ার চিকিৎসা চলছিল। অসহনীয় ব্যথা ও ক্যান্সারের যন্ত্রণায় বাঁচার আকুতি ও বাবা মায়ের বুকফাটা আর্তচিৎকারে ভারী ছিল রাজধানীর মিরপুরের আলোক হেলথ কেয়ারের পরিবেশ। প্রয়োজন ছিলো ৩০ লাখ টাকা কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করা হয়ে উঠেনি সাদিয়ার।

সাদিয়ার চিকিৎসায় তখন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতিসহ সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কোনভাবেই এতটাকা জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। তার পরিবারও সবকিছু বিক্রি করে হয়ে গেছে নিঃস্ব।সাদিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে। সাদিয়ার শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী, আজ শনিবার তিতুমীর কলেজের মাঠে জানাজা সম্পন্ন হয় বলে তার সহপাঠী ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে।

কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এগিয়ে আসা মানুষদের ধন্যবাদ জানিয়ে সাদিয়া বলেছিলেন হয়তো বা আমার সময় শেষ। আমি এখন কথাও বলতে পারছি না। আমার চিকিৎসার জন্য যারা যেখান থেকে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

প্রজন্মনিউজ২৪/নাজিম উদ্দীন