উইঘুরদের বন্দি রাখতে ৫০০ ক্যাম্প কারাগার চালাচ্ছে চীন

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০১:০১:৩২ || পরিবর্তিত: ১৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০১:০১:৩২

উইঘুরদের বন্দি রাখতে ৫০০ ক্যাম্প কারাগার চালাচ্ছে চীন

উইঘুর নিপীড়ন নিয়ে সক্রিয় মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠটির সদস্যদের আটক ওবন্দি রাখতে প্রায় পাঁচশ ক্যাম্প ও কারাগার চালাচ্ছে চীন সরকার।আর এতে ১০ লাখেরও বেশি উইঘুরকে আটক রাখার খবর জানাচ্ছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।

চীনে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ জিনজিয়াংয়ের স্বাধীনতার জন্য কাজ করছে ওয়াশিংটনভিত্তিক দ্য ইস্ট তুর্কিস্তান ন্যাশনাল এ্যাওয়াকেনিং মুভমেন্ট।মঙ্গলবার সংস্থাটি জানিয়েছে, গুগল আর্থের ছবি মূল্যায়ন করে ১৮২টি বিনাবিচারে বন্দি রাখার ক্যাম্প পাওয়া গেছে।

গুগল কোঅরডিনেটস সিস্টেমের মাধ্যমে তারা এই তালিকা তৈরি করেছে।সরেজমিন প্রতিবেদনের সঙ্গে গুগলের তথ্য মিলে গেছে বলেও দাবি করছে ওই মানবাধিকার সংস্থাটি। এছাড়াও ২০৯টি সন্দেহভাজন কারাগার ও ৭৪টি শ্রম ক্যাম্পও শনাক্ত করা হয়েছে। ব্যাপক অঞ্চলজুড়ে প্রতিষ্ঠিত এসব কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের খোঁজ এর আগে কখনো পাওয়া যায়নি।

কাজেই এসব ক্যাম্পে একটা বড় সংখ্যক উইঘুর বন্দি রয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।তুর্কিস্তান ন্যাশনাল এ্যাওয়াকেনিং মুভমেন্টের পরিচালক কেইল ওলবার্ট এসব তথ্য জানিয়েছেন।ওয়াশিংটনের শহরতলীতে এক সংবাদসম্মেলনে তিনি বলেন, এর আগে আমরা শনাক্ত করতে পারিনি এমন বহু ক্যাম্প রয়েছে সেখানে।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক কর্মী ও এই গ্রুপটির উপদেষ্টা অ্যান্ডার্স কোর বলেন, এর আগে ৪০ শতাংশ এলাকার প্রতিবেদন করা হয়েছিল। তুর্কি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীটির ১০ লাখেরও বেশি সদস্যকে আটক করে রাখার কথা সাধারণত জানিয়ে আসছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।

গত মে মাসে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের এশিয়া বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা র‌্যানডার স্ক্রিভার বলেন, আটক রাখার এই সংখ্যা ৩০ লাখেরও বেশি হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

অঞ্চলটিতে দুই কোটির মতো জনসংখ্যা রয়েছেন। যাদের বড় একটা সংখ্যকই এখন কারাগারে বন্দি।ওলবার্ট বলেন, ক্যাম্প সাইটের বিভিন্ন চিত্রে পরপর স্থাপিত বিভিন্ন স্টিল ও কংক্রিটের অবকাঠামো চোখে পড়ছে। নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতর গত চার বছরে এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রজন্মনিউজ২৪/নাজিম উদ্দীন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ