গাইবান্ধা জেলা যেন এখন দূর্নীতির আখরা


গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সারা দেশ ।সরকারের প্রতিটি সেক্টর উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে।সরকার ২০২১  সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত ও ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ কে উন্নত আয়ের দেশ হিসেবে পরিনত করার লক্ষে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের এই উন্নয়নের গতিকে নিমিষেই ধংস করে দিচ্ছছে কতিপয় কিছু দুর্নীতিবাজ ব্যাক্তিরা।

তারা দূর্নীতির ও অনিয়মের মাধ্যমে সরকার কতৃক উন্নয়ন গুলির  ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। চলমান উন্নয়নের অংশ হিসেবে বিগত অর্থবছরে সসরকার গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিভিন্ন রাস্তার সাময়িক মেরামতের জন্য ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। বাজেটে পাওয়া ৪ কোটি টাকার  কাজ এই সব দূর্নীতিবাজদের মনোনিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে নাম মাত্র কাজ করে ভাগ বাটোয়ারা করেছেন বলে জানা যায়।

আরো জানা যায়  ,বিগত অর্থ বছরে শ্রমিকদের নামে ২৪ হাজার টাকা করে ভুয়া মাষ্টার রোলের মাধ্যমে প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের  উপ-সহকারী প্রকৌশলী (মোশাররফ হোসেন)  বলেন আমরা মাষ্টার রোলের মাধ্যমে প্রত্যেক শ্রমিককে ২৪ হাজার টাকা করে কাজের বিল প্রদান করেছি মাত্র। কোন ভুয়া বিল ভাউচার করা হয় নি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের অপর একজন উপসহকারী প্রকৌশলী  (আপেল মাহামুদ) জানান,৪ কোটি টাকার মেইনটেন্স কাজ ঠিকাদারের মাধ্যমে করা হয়েছে। ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার কাজ শ্রমিক দ্বারা করানো হয়েছে এবং মাষ্টার রোলের মাধ্যমে ২৪ হাজার টাকা করে তাদের বিল প্রদান করা হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের  নির্বাহী প্রকৌশলী (আসাদুজ্জামান) জানান, সংস্কার ও মেরামতের জন্য বিগত অর্থবছরে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যায় করা হয়েছে।

কাজের গুনগত  মান দেখে তিনি সম্মাননা পদকও পেয়েছেন। তিনি আরো জানান কাজ করলে ছোট খাটো অনিয়ম হবেই।আমি নিজেকে সুফি কিংবা সাধু মনে করি না! সব কিছু ম্যানেজ করেই আমাকে কাজ করতে হয়! উল্লেখ্য  যে, গাইবান্ধা জেলায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ দুর্নীতির আখড়া হয়ে ওঠেছে বলে দাবী জানান সচেতন জনগণ। তারা সরকারের কাছে দাবী জানান যেভাবে শুদ্ধি অভিজান চলছেন সেভাবে গাইবান্ধায় কর্মরত সরকারি কর্মকর্তাদের উপর অভিজান  চালানো হোক।

প্রজন্মনিউজ২৪/ আজাদ / মামুন