পৌরসভা হয়েও নেই উন্নয়নের বিন্দুমাত্র ছোঁয়া


আজাদ-গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ উন্নয়নের আশায় সাধারণ জনতার দীর্ঘদিন অনেক আন্দোলন ও সংগ্রামের পর বাস্তবায়িত হয়েছিল পলাশবাড়ী পৌরসভা। সর্ব মোট ২৪ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত হয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর পলাশবাড়ী পৌরসভা।  প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল হোসেনকে।

পৌরসভা বাস্তবায়ন হওয়ার পর, ইউনিয়ন পরিষদের আওতাভুক্ত থাকা কালীন সময়ের গ্রামীন জনগোষ্ঠীগুলোর বিভিন্ন উন্নয়ন কল্পে গৃহীত অধিকাংশ সরকারি কর্মসূচি গুলো প্রশাসনিক কারনে স্থগিত করা হয়েছে।

ফলে শতশত পরিবার সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই যেসব কর্মসূচি স্থগিত করা করা হয়েছে   তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে  ১০ টাকা কেজি চাল প্রদান, এটি ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি সরকারী কর্মসূচি স্থগিত করা  হয়েছে।

ইতিমধ্যেই পৌর প্রশাসকের দপ্তরে ভুমি কর, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন, হাটবাজারসহ বিভিন্ন খাত থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা জমা হলে ও দৃশ্যমান কোন কাজ হয় নি।

পৌরসভা ও এলাকার  সাধাণ বাসিন্দাদের থেকে জানা যায় বর্তমান পৌর প্রশাসকসহ কমিটির অধিকাংশ সদস্যদের ধীরগতি ও সিদ্ধান্ত হীনতার ফলে পৌরসভার সীমানা নির্ধারনী ম্যাপ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হলে ও অনুমোদন হয় নি।

এক্ষেত্রে ভোটাধিকার বাস্তবায়ন কমিটির নেতৃবৃন্দদের আবারো ফাইল নিয়ে ছুটাছুটি করা লাগতে পারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে। নয়তো দিনের পর দিন এভাবেই ফাইলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে পৌরসভার সীমানা নির্ধারনী ম্যাপসহ সকল  উন্নয়নশীল কর্মসূচী।

নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত পৌরবাসীদের থেকে জানা যায়, প্রশাসনিক কারনেই তারা নাগরিক সুবিধা সহ নানা রকম সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা।

পলাশবাড়ী  পৌড়বাসী অবিলম্বে পৌরসভার নির্বাচন কার্যক্রম সহ সমস্ত নাগরীক সুবিধা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সহযোগীতা এবং ভূমি মন্ত্রনালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়, ও নির্বাচন কমিশনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পৌরসভা বাসী।

প্রজন্মনিউজ২৪/রেজাউল