শর্ট ফিল্ম ফোরামের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী


১৯৮৬ সালের ২৪শে অক্টোবর যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম। শনিবার (গতকাল) বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে হয়ে গেল এক উৎসব। স্মৃতিচারণার পাশাপাশি বিকেলে কেক কাটা হয়।

 এই প্রতিষ্ঠানের জন্মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা হলেন মোরশেদুল ইসলাম, তানভীর মোকাম্মেল, তারেক মাসুদ, এনায়েত করিম বাবুল, তারেক শাহরিয়ার, শামীম আক্তার, মানজারে হাসীন মুরাদ, ইয়াসমিন কবির, নূরুল আলম আতিক, জাহিদুর রহিম অঞ্জন, রাশেদ এন চৌধুরী ও আকরাম খান। তাঁদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন গতকালের আয়োজনে।

 দেশের ৫৬ জেলার ২৫০ উপজেলায় গড়ে ওঠে বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের বিকল্প প্রদর্শনের  নেটওয়ার্ক। ১৯৮৮ সাল থেকে দুই বছর পরপর ‘আন্তর্জাতিক স্বল্প এবং মুক্ত দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব’ আয়োজন করছে এই ফোরাম।

২০১৩ সালে আইন পাসের পর ২০১৪ সাল থেকে হাঁটি হাঁটি পা পা করে পথ চলছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট। এই ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম।

 গতকাল সেই সংগঠন ৩৩ বছর পূর্ণ করে পা রেখেছে ৩৪-এ। গতকাল এই আনন্দ অনুষ্ঠান মানজারে হাসীন মুরাদ, মোরশেদুল ইসলাম, নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, আকরাম খান, সামিয়া জামান, চৈতালি সমাদ্দার, লুবনা শারমিন, মুনিরা  মোরশেদ মুন্নি, তাসমিয়াহ আফরিন মৌ, সুবর্ণা সেঁজুতি টুসি, জাহিদুর রহিম অঞ্জন, আবু সাইয়ীদ, এন রাশেদ চৌধুরী, তারেক আহমেদ, ফরিদুর রহমান, সাইফুল ওয়াদুদ হেলাল, কাওসার চৌধুরীসহ আরও অনেকের উপস্থিতিতে প্রাণ পায়।

 স্বাধীন নির্মাতাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও। বিকেলে চলচ্চিত্রকার ও শিক্ষক মানজারে হাসীন মুরাদকে প্রদান করা হয় বিশেষ সম্মাননা। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়া দুটো স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী হয়। তা হচ্ছে অং রাখাইনের ‘দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস’ এবং সুবর্ণা সেঁজুতি টুসির ‘মীনালাপ’।

প্রজন্মনিউজ২৪/রেজাউল