ফুটবলে 'হ্যান্ড অব গড', ক্রিকেটে 'ব্যাট অব গড'


ক্রিকেট মক্কায় বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ইংল্যান্ড। কিন্তু সেই সঙ্গে জন্ম দিয়েছে একরাশ বিতর্কের। বিতর্কের কেন্দ্রে ইংল্যান্ড ইনিংসের শেষ ওভারের ওভার-থ্রো। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫ রান। ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম দু’বলে কোনও রান নিতে পারেননি বেন স্টোকস।

 তৃতীয় বলে ছক্কা মারেন তিনি। চতুর্থ বলে ভাগ্যের জোরে ৬ রান পেয়ে যায় ব্রিটিশরা। দু’রান নেয়ার সময় রান-আউট থেকে বাঁচতে ডাইভ মারেন ব্যাটসম্যান স্টোকস। কিন্তু গাপটিলের ছোঁড়া বল স্টোকসের ব্যাটে লেগে বাউন্ডারিতে চলে যায়। বিতর্কিত ছ’রানের সিদ্ধান্ত জানান আম্পায়ার।

ম্যাচ টাই হয়ে যায়। ফলে ফাইনাল গড়াই সুপার ওভারে। কিন্তু সুপার ওভারও টাই হওয়ায় ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিহাসে বিশ্বকাপ জয় অধরা থেকে যায় নিউজিল্যান্ডের। আর ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি মারার সুবাদে বিশ্বজয়ের স্বাদ পায় ইংল্যান্ড। ২২ গজের এই বিতর্কিত বিশ্বকাপ ফাইনালের সঙ্গে ৩৩ বছর আগে ফুটবল বিশ্বকাপে দিয়াগো মারাডোনার হাত দিয়ে করা গোলের তুলনা করেন অনেকেই। মারাডোনার ‘হ্যান্ড অব গড’ যেন এদিন স্টোকসের ‘ব্যাট অব গড’ হয়ে ওঠে।

মেক্সিকোর এস্তাদিও আজেতেকা স্টেডিয়ামে ১৯৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মারাডোনার হ্যান্ড অব গডের শিকার হয়েছিল ইংল্যান্ড। আর লর্ডসে ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে স্টোকসের ব্যাট অব গডের শিকার হয় নিউজিল্যান্ড।

ইংরেজ বক্সে উঁচু করে তোলা বল রেফারির নজর এড়িয়ে হেড দেয়ার ভঙ্গি করে হাতে লাগিয়ে বল জালে জড়িয়ে দিয়েছিলেন মারাডোনা। পরে মারাডোনাই বলেছিলেন সেই হাতটা ছিল ‘ঈশ্বরের হাত’।মারাডোনার হাত দিয়ে বিতর্কিত এই গোল ‘হ্যান্ড অব গড’ নামে খ্যাত।

‘হ্যান্ড অব গড’-এর অনুকরণে স্টোকসের ব্যাটকে বলা হচ্ছে ‘ব্যাট অব গড’ অর্থাৎ ‘ঈশ্বরের ব্যাট’। ফুটবল মাঠে ঈশ্বর ইংরেজদের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিয়েও ৩৩ বছর পর ক্রিকেট মাঠে সেই ঈশ্বরই ব্রিটিশদের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করল।

প্রজন্মনিউজ২৪/শেখ ফরিদ