লোয়ার অর্ডারের ব্যাটে মান বাঁচল দক্ষিণ আফ্রিকার


টানা দুই ম্যাচ হেরে আত্মবিশ্বাস যেন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। ভারতের বিপক্ষে সাউদাম্পটনেও আজ (বুধবার) আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিটা স্পষ্ট দেখা গেল। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায়নি ফাফ ডু প্লেসিসের দল।

তবে যতটা লজ্জায় পড়ার কথা ছিল, ততটা লজ্জায়ও পড়েনি প্রোটিয়ারা। লোয়ার অর্ডারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে মোটামুটি মানের একটা সংগ্রহ গড়তে পেরেছে তারা। ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে তুলেছে ২২৭ রান। অর্থাৎ জিততে হলে ভারতকে করতে হবে ২২৮।

টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয়াটাই যেন কাল হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। শুরুতেই তারা পড়েছে জাসপ্রিত বুমরাহর তোপে। দুই ওপেনার হাশিম আমলা (৬) আর কুইন্টন ডি কককে (১০) থিতু হতে দেননি ভারতীয় এই পেসার। ২৪ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা।

তৃতীয় উইকেটে ডু প্লেসিস আর ফন ডার ডাসেন ৫৪ রানের জুটিতে বিপদ কিছুটা সামলে উঠেছিলেন। ২০তম ওভারে এসে জোড়া আঘাত হানেন ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল। সেট দুই ব্যাটসম্যানকেই বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান ভারতীয় এই লেগস্পিনার। ডু প্লেসিস ৩৮ আর ডাসেন করেন ২২ রান।

জেপি ডুমিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। কুলদ্বীপ যাদবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ৩ রান করেই। এরপর ডেভিড মিলার আর আন্দেলো ফেহলুখায়োর দলকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। সেই চেষ্টাতেও চাহালের বাধা। ৩১ রান করা মিলারকে ফিরতি ক্যাচ আর ফেহলুখায়োকে ৩৪ রানে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি।

১৫৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে তখন দুইশর আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় প্রোটিয়ারা। সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেন ক্রিস মরিস আর কাগিসো রাবাদা। অষ্টম উইকেটে তারা গড়েন ৬৬ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ এক জুটি। ৩৪ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় ৪২ রানের ঝড় তুলে মরিস যখন ফেরেন, ইনিংসের আর মাত্র ৪ বল বাকি। ৩৫ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন রাবাদা।

ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল চাহাল ৫১ রান খরচায় নেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট জাসপ্রিত বুমরাহ আর ভুবনেশ্বর কুমারের।