কফি আবিষ্কার করেছিলেন এক মুসলিম রাখাল


আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কফি একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। নাস্তার টেবিলে পানীয় হিসেবে কফির জুড়ি নেই। কফিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। যা আমাদের দেহের কোষগুলোকে ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ ও রাসায়নিকের মিশ্রণ ঠেকাতে সাহায্য করে। তবে আজ জেনে নেব কফির প্রথম আবিষ্কার কে? বিস্তারিত জানাচ্ছেন সাইফুর রহমান তুহিন-

ইতিহাস থেকে জানা যায়, আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ ইথিওপিয়ার কাফা অঞ্চলের খালিদ নামের এক আরব বাসিন্দা ছাগল চরানোর সময় খেয়াল করেন যে, জামের মতো এক ধরনের ফল খাওয়ার পর প্রাণীগুলোকে অনেক সতেজ দেখাচ্ছে। খালিদ ওই ফলগুলোকে সেদ্ধ করে সর্বপ্রথম কফি তৈরি করেন।

এরপরই কফি নামক এই পানীয় ইথিওপিয়া থেকে ইয়েমেনে রফতানি করা হয়। সেখানে সুফী-সাধকরা বিশেষ উপলক্ষে রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগী করার জন্য এটি পান করেন।

পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষদিকে কফি পৌঁছে যায় মক্কা ও তুরস্কে। যেখান থেকে ১৬৪৫ সালে এটি যায় ইতালির ভেনিস নগরীতে। ১৬৫০ সালে পাস্ক রোসী নামের এক তুর্কীর হাত ধরে এটি ইংল্যান্ডে প্রবেশ করে। তিনি লন্ডন নগরীর লোম্বার্ড স্ট্রিটে সর্বপ্রথম কফির দোকান দেন।

এরপরই বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রসার লাভ করে পানীয়টি। ফলে ইথিওপিয়াকে কফির জন্মস্থান মনে করা হয়। ইথিওপিয়ায় জন্ম নেওয়া কফি গাছ থেকে পাওয়া কফিকে বলা হয় ‘অ্যারাবিকা’।