এফ আর টাওয়ারে মৃতের সংখ্যা ২৫ না ১৯?


পোড়া ভবন থেকে নামানো হচ্ছে মরদেহ। পোড়া ভবন থেকে নামানো হচ্ছে মরদেহ।রাজধানীর বনানীতে কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের ২৫ উল্লেখ করেছিল ফায়ার সার্ভিস। প্রায় ৪৫ মিনিট পর তা ১৯-এ নামিয়ে আনে সংস্থাটি। ঘটনাস্থলে স্থাপিত ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে দুবার এই দুই ধরনের তথ্য দেওয়া হয়।

বনানীর বহুতল এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার সূত্রপাত হয় দুপুর ১২টার দিকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, আগুন লাগার পর ভবন থেকে নামতে গিয়ে অনেকেই আহত হন। আগুন থেকে বাঁচতে বেশ কয়েকজন ভবন থেকে লাফ দেন। এতে নিহত হয়েছেন শ্রীলঙ্কার এক নাগরিক। অনেকে ভবনের পাশে ঝুলে থাকা তার ধরে নামতে গিয়ে নিচে পড়ে আহত হন। সরকারি উদ্ধারকর্মীরা অনেককেই উদ্ধার করতে সক্ষম হন।

তখন ধারণা করা হয়েছিল, মৃতের সংখ্যা খুব বেশি হবে না। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে উদ্ধারকর্মীরা যখন ভেতরে গেলেন, তখনই বের হতে থাকে একের পর এক লাশ। আজ রাত ১১টা ০৫ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে স্থাপিত ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানানো হয়, মৃতের সংখ্যা ২৫। সংবাদকর্মীরা তৎক্ষণাৎ সেই সংবাদ প্রকাশও করেন। কিন্তু ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার খুরশিদ আলম মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেন।

তখন জানানো হয়, মৃতের সংখ্যা ১৯। খুরশিদ আলম বলেন, একই লাশ দুবার করে গণনা হওয়ার কারণে এমন বিভ্রান্তি হয়েছে। সংখ্যাটা আসলে ১৯ হবে, ২৫ নয়। এদিকে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমান আলীর বক্তব্য থেকে নিহতদের মধ্যে সাতজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন, পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭), আমেনা ইয়াসমিন (৪০), মামুন (৩৬), শ্রীলঙ্কার নাগরিক নিরস চন্দ্র, আবদুল্লাহ আল ফারুক (৩২), মাকসুদুর (৬৬) ও মনির (৫০)। উদ্ধারকর্মীদের কাছ থেকে জানা গেছে, ভবনের ভেতরে প্রচণ্ড উত্তাপ।

দম বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা। সারা রাত উদ্ধার অভিযান চলবে। ভেতরে প্রচণ্ড গরম। গরম সহনীয় পর্যায়ে এলে ভেতরে যাবেন উদ্ধার কর্মীরা। সকালে সংখ্যা কত হয় জানা যাবে। লাশ শনাক্ত করতে ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজন হতে পারে।