প্রকাশিত: ২২ মার্চ, ২০১৯ ০৬:২৪:৩৫
স্টফ রিপোর্টার : বর্তমান সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা এক আতঙ্কের নাম। এটা এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হিসেবে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন প্রিয়জন হারানো আর্তনাদ আর কান্নায় বাতাস ভারী হচ্ছে খালি হচ্ছে হাজারো মায়ের কোল। রাষ্ট্রের প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে। দেশের রাস্তাগুলো যেন মৃত্যুফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিদিন পত্রপত্রিকা খুললে খবর পাওয়া যায় সড়ক দুর্ঘটনার। এসব খবর অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তবে সরকারের একার পক্ষে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। সবার ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা দরকার।তারপরও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উদ্যোগ সরকারই নিতে পারে। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অনেক আইন রয়েছে, কিন্তু সেসব আইনের প্রয়োগ নেই। আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে সরকারের আরো কঠোর হওয়া উচিত।
আর সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সর্বপ্রথম সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো খতিয়ে বের করা আবশ্যক। সড়ক কারণ হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের অসচেতনতা। এ ছাড়া রয়েছে অদক্ষ ও অশিক্ষিত চালক, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, চালকদের প্রশিক্ষণের অভাব, যাত্রী ও পথচারীদের অসচেতনতা, দুর্নীতি, চলন্ত অবস্থায় চালকের মোবাইল ফোন ব্যবহার, অপরিকল্পিত ও ভঙ্গুর সড়ক, ওভারক্রসিং, অতিরিক্ত গতি, ওভারব্রিজের স্বল্পতা, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, ট্রাফিক পুলিশের গাফিলতি, অনিয়ম, বিপজ্জনক ট্রাক, লাইসেন্সবিহীন গাড়ি ও চালক এবং বেপরোয়া গাড়ি চালানো।
তবে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালকরাই যে দায়ী তা নয়, যাত্রী, পথচারী, রাস্তার পাশের দোকান, স্কুল, অনেক সময় বাচ্চারাও দৌড়ে রাস্তা পার হয়। আর এসব কারণেই অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে।
তাই দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতা আগে জরুরি এবং তা চালক-যাত্রী উভয়ের ক্ষেত্রে। সিগনালিং বা ট্রাফিক ব্যবস্থা আধুনিকায়নের করতে হবে। ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার কমানোর পরিকল্পনা প্রয়োজন। রোড-সংকেত সম্পর্কে চালক-যাত্রীর পরিষ্কার ধারণা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে চালক-সহকারীদের।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে একমুখী রাস্তা চালু করা যেতে পারে। পথচারীদের অবশ্যই ওভারব্রিজ বা পাতালপথ ব্যবহার করতে হবে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না। গাড়ি চালানোর সময় চালকদের অবশ্যই মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না।
এ ক্ষেত্রে যাত্রীরাও সচেতন হয়ে এ ভয়াবহ প্রবণতা রুখে দিতে পারে। রাস্তা প্রশস্ত করতে হবে। এটা সময় বা অর্থসাপেক্ষ ব্যাপার। তাই দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় বা মোড়ে রাস্তা প্রশস্ত করা যেতে পারে। দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের আরো আন্তরিকতা দেখাতে হবে।
অনেক ক্ষেত্রে আইনের যথার্থ প্রয়োগ করা সম্ভব হয় না! শুধু আইন করে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব নয়। সর্বাগ্রে সচেতনতা জরুরি আর ক্ষেত্রবিশেষ সংশ্লিষ্টদের বিবেক জাগ্রত হওয়া দরকার।সরকার-জনগণ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে এবং দেশের অভিশাপ সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করবে, বলে আমরা তা আশা করি।
প্রজন্মনিউজ২৪/মামুন
সিলেটে দ্বিতীয় স্মার্ট ক্লাসরুম উদ্বোধন করলো চীনা দূতাবাস
ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নেওয়া আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ : কামাল
রেফারিকে গালি দিয়ে শাস্তি পেতে পারেন হালান্ড
রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে নারী অধিকার উল্লেখ জরুরি
সহিংসতায় বর্তমান ও সাবেক ক্ষমতাসীনরা দায়ি : মোমিন মেহেদী
নোটিশ পেয়ে দুঃখ পাওয়ার কথা থাকলেও আনন্দিত: শামীম ওসমান
বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
এক মাসেও চালু হয়নি খুলনা-মোংলা রুটে ট্রেন
Severity: Notice
Message: Undefined index: category
Filename: blog/details.php
Line Number: 417
Backtrace:
File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/blog/details.php
Line: 417
Function: _error_handler
File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/template.php
Line: 199
Function: view
File: /home/projonmonews24/public_html/application/controllers/Article.php
Line: 87
Function: view
File: /home/projonmonews24/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once