আল্লামা নেছারুদ্দীন রহমাতুল্লাহি আলাইহির জীবন ও কর্ম

প্রকাশিত: ১৩ মে, ২০১৬ ১০:৪৪:২৩

আল্লামা নেছারুদ্দীন রহমাতুল্লাহি আলাইহির জীবন ও কর্ম

৭৩ বছর বয়সে থমকে গেল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও একুশে পদকজয়ী বিখ্যাত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামের জীবন ঘড়ি।

১৯৪১ সালের ২৩ অক্টোবর বিক্রমপুর শ্রীনগর থানার সমশপুর গ্রামে জন্ম নেন এই প্রখ্যাত পরিচালক। তিনি ছিলেন বাবা-মায়ের জ্যেষ্ঠপুত্র। বাবা মোসলেহ উদ্দিন আহম্মদ ভারতের বিহারে টাটা আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।

চাষীর নাম রেখেছিলেন শেরেবাংলা একে ফজলুল হক। চাষীর মামা চাষী ইমাম উদ্দিন শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন এবং নবযুগ ও লাঙ্গল পত্রিকার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সেই সূত্রেই একদিন ফজলুল হককে একটা নাম দিতে বলা হলে তিনি চাষী ইমাম উদ্দিনের ‘চাষী’ আর কাজী নজরুল ইসলামের ‘নজরুল ইসলাম’ মিলিয়েই নামটা দেন।

১৯৬১ সালে খ্যাতিমান পরিচালক ফতেহ লোহানীর সাথে ‘আছিয়া’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর প্রখ্যাত সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রাকার ওবায়েদ-উল-হকের সহকারী হিসাবে ‘দুইদিগন্ত’ চলচ্চিত্রে কাজ করেন ১৯৬৩ সালে।

১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনিই প্রথম নির্মাণ করেন মুক্তিযুদ্ধভিক্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’।

এই চলচ্চিত্রটি ১৯৭২-এ মুক্তি দেয়ার মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে চাষী নজরুলের আত্মপ্রকাশ করেন। যেটি এখনো মানুষের মনে দাগ কাটে।


বিখ্যাতকর্ম
‘ওরা ১১ জন’ (১৯৭২), ‘সংগ্রাম’ (১৯৭৪), ‘ভালো মানুষ’ (১৯৭৫), ‘বাজীমাত’ (১৯৭৮), ‘দেবদাস’ (১৯৮২), ‘চন্দ্রকথা’ (১৯৮৫), ‘শুভদা’ (১৯৮৬), ‘লেডি স্মাগলার’ (১৯৮৬), ‘মিয়া ভাই’ (১৯৮৭), ‘বেহুলা লক্ষ্মীন্দর’ (১৯৮৭), ‘বিরহ ব্যাথা’ (১৯৮৮), ‘মহাযুদ্ধ’ (১৯৮৮), ‘বাসনা’ (১৯৮৯), ‘দাঙ্গা ফাসাদ’ (১৯৯০), ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’ (১৯৯১), ‘দেশ জাতি জিয়া’ (১৯৯৩), ‘আজকের প্রতিবাদ’ (১৯৯৫), ‘শিল্পী’ (১৯৯৫), ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ (১৯৯৫), ‘হাছন রাজা’ (২০০১), ‘কামালপুরের যুদ্ধ’ (২০০২), ‘মেঘের পরে মেঘ’ (২০০৪), ‘শাস্তি’ (২০০৫), ‘সুভা’ (২০০৫), ‘দ্রুবতারা’ (২০০৬), ‘দুই পুরুষ’ (২০১১), ‘দেবদাস’ (২০১৩) (দ্বিতীয় এবং বাংলাদেশের প্রথম রঙিন সংস্করণ)।

সম্মাননা
বাংলাদেশ সিনে জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড (সংগ্রাম-১৯৭৪ শ্রেষ্ঠ পরিচালক), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (শুভদা-১৯৮৬ শ্রেষ্ঠ পরিচালক), শের-ই-বাংলা স্মৃতি পুরস্কার (১৯৮৮ শ্রেষ্ঠ পরিচালক), বাংলাদেশ ফিল্ম ক্রিটিকস্ (বিরহ ব্যথা-১৯৮৯ শ্রেষ্ঠ পরিচালক), বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইয়ুথ অর্গানাইজেশন ফেডারেশন অ্যাওয়ার্ড (১৯৮৯ শ্রেষ্ঠ পরিচালক),
বাংলাদেশ সোস্যাল ওয়েলফেয়ার (১৯৯৫ চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব), স্যার জগদীশচন্দ্র বসু স্বর্ণপদক (১৯৯৫ চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব), জহির রায়হান স্বর্ণপদক (১৯৯৫ চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১৯৯৭ (হাঙর নদী গ্রেনেড-শ্রেষ্ঠ পরিচালক), ২০০৪ সালে একুশে পদক, বিনোদন বিচিত্রা অ্যাওয়ার্ড (২০০৩ শ্রেষ্ঠ পরিচালক), জেনেসিস নজরুল সন্মামনা পদক (২০০৩), বিসি আরএ অ্যাওয়ার্ড (২০০৫ শ্রেষ্ঠ পরিচালক), তারকালোক অ্যাওয়ার্ড (১৯৯৭), জহির রায়হান আজীবন সন্মাননা, CJFB অ্যাওয়ার্ড (শ্রেষ্ঠ পরিচালক), আন্তর্জাতিক কালাকার পুরস্কার (২০০৫ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র এবং শ্রেষ্ঠ পরিচালক)।

জীবনের শেষ ক’দিন
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও একুশে পদকজয়ী নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম জীবনের শেষ ক’দিন রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালেই কাটিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই ফুসফুস ক্যানসারে ভুগছিলেন। রোববার ভোর ৬টার দিকে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৃথিবী ছেড়ে চলে যান

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined index: category

Filename: blog/details.php

Line Number: 417

Backtrace:

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/blog/details.php
Line: 417
Function: _error_handler

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/template.php
Line: 199
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/application/controllers/Article.php
Line: 87
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত



ব্রেকিং নিউজ