চট্টগ্রামে ছদ্মনামে সক্রিয় ইসলামী ছাত্রশিবির


প্রকাশ্যে মাঠে না থাকলেও বনভোজন, চাকরি মেলা, গণিত অলিম্পিয়াড, ভাষা শিক্ষাসহ নানা অনুষ্ঠানের আড়ালে সক্রিয়ভাবেই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবির। এভাবেই চট্টগ্রামে গত চার বছরে জনবল তিনগুণ বাড়িয়েছে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠনটি। আগামী সংসদ নির্বাচনে দলীয় শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এর সাফল্য ঘরে তোলার জন্য নগরীর ৩২৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০ হাজার সমর্থক তৈরির কার্যক্রমও অব্যাহত রেখেছে।

অথচ পুলিশ এসবের কিছুই আঁচ করতে পারেনি।গত ৩ সেপ্টেম্বর ছাত্রশিবিরের ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের পর তাদের কাছে পাওয়া নথিপত্র থেকেই এ তথ্য জানা গেছে। শিবিরের দীর্ঘ ও বিস্তারিত পরিকল্পনার এ ছক জানতে পেরে রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছেন নগর পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

পরিকল্পনায় আগামী নির্বাচনকে দেওয়া হয়েছে সর্বাধিক গুরুত্ব। বলা হয়েছে, ২০১৮ সালটি খুবই চ্যালেঞ্জের। পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে তা পরীক্ষা হিসেবে ধরে নিয়ে ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে। প্রয়োজনে ত্যাগ ও কোরবানির নজির সৃষ্টি করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, ‘আমরা পেছনে লেগে আছি বলেই তারা এখনো কোণঠাসা অবস্থায়। আগামীতে তারা আবারও মাঠে সক্রিয় হয়ে নাশকতার চেষ্টা করতে পারে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমাদের সব কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

প্রজন্মনিউজ২৪/রাকিব