৪৬ বছর পর মধুখালী-মাগুরা ডুয়েলগেজ রেলপথ


দীর্ঘ ৪৬ বছর পর ফরিদপুরের মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ২৩ দশমিক ৯০ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। মাগুরা জেলাকে বাস্তবায়নাধীন পদ্মাসেতুর মাধ্যমে ঢাকা এবং দেশের অন্যান্য স্থানের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনই মূল উদ্দেশ্য। ফলে এসব রুটের মাধ্যমে বাণিজ্য এবং দেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ উন্নয়নে সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মাগুরা জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করা হলে আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। এটি নির্মাণে মোট প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা। চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের মধ্যেই রেলপথটুকু নির্মাণ করতে চায় সরকার। ৪৬ বছর আগে ফরিদপুর মধুখালী থেকে কামারখালী পর্যন্ত রেলপথ ছিল। কিন্তু এটা এখন আর ব্যবহার হয় না। তবে কামারখালী থেকে মাগুরা পর্যন্ত কোনো রেলপথ নেই।

প্রকল্পের আওতায় মধুখালী থেকে কামারখালী পর্যন্ত বিদ্যমান রেলপথটি সংস্কার করে ডুয়েলগেজ এবং কামারখালী থেকে মাগুরা পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মিত হবে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোফাজ্জেল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, অনেক আগে থেকে কামারখালী পর্যন্ত রেলপথটি সচল ছিল। কিন্তু পরে বন্ধ হয়ে যায়। এখন আমরা মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণ করবো। আমরা রেলপথটি নির্মাণের জন্য বৈদেশিক অর্থায়ন পাওয়ার চেষ্টা করছি।

যদি না পাই তবে দেশীয় অর্থায়নেই তা বাস্তবায়ন করবো। রেলপথটুকু নির্মাণ করতে পারলে পদ্মাসেতু হয়ে ঢাকা ও মাগুরার মধ্যে রেল নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে। এই অঞ্চলের অধিক সংখ্যক প্রান্তিক মানুষ সরাসরি সুফল ভোগ করবেন। তাই দারিদ্র দূর করার দিক থেকেও এই প্রকল্পটি সহায়ক হবে।’ রেলমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হচ্ছে। ১৮৬২ সালে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে জগতি পর্যন্ত ৫৩ দশমিক ১১ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণের মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলে রেলপথের যাত্রা শুরু। এরপর ১৮৭০ সালে গড়াই সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে ১৮৭১ সালের ০১ জানুয়ারি তা গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়।