জাপানস্থ বাংলাদেশ ওমেনস অ্যাসোসিয়েশনের বনভোজন


জাপানপ্রবাসী বাংলাদেশি নারীদের উদ্যোগে কিছুদিন আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ওমেনস অ্যাসোসিয়েশন, জাপান।

গত শনিবার (২৯ জুলাই) এই সংগঠন আয়োজন করেছিল ইদ-উত্তর পুনর্মিলনী ও বনভোজনের। সাগর আর অরণ্য ঘেরা প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য ইয়োকোহোমার ইয়ামাসিতা পার্ক তারা নির্বাচিত করেছিলেন পুনর্মিলনী ও বনভোজনের জন্য।

জাপানি প্রকৃতিপ্রেমীদের প্রথম পছন্দের স্থান এই ইয়ামাসিতা পার্ক। ১৯২৩ সালে যে বিধ্বংসী ভূমিকম্প হয়েছিল তার ধ্বংসাবশেষ ব্যবহার করে ছবির মতো সাজিয়ে নির্মিত হয়েছে এই পার্ক।

সমুদ্রের পাড় ঘেঁষে গোলাপের বাগান আর পাথরের ঝরনার মাঝে মনোরম পরিবেশে বনভোজনের আয়োজনে ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির সকল সদস্যরা। এসেছিলেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। বিশেষভাবে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন জাপানপ্রবাসী সিনিয়র নারী ও কমিউনিটির নেতারা। বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ইকোনমিক মিনিস্টার ড. শাহীদা আক্তার।

একটু ব্যতিক্রম করতে পিকনিক শুরু হয় বিকেল চারটায়। বিকেলের মজাদার নাশতা পর্ব শেষ হতেই শুরু হয় খেলাধুলা পর্ব। বাচ্চাদের জন্য ছিল মিউজিক্যাল পিলো। কাপল গেমে অংশ নেন উপস্থিত সকল জুটিরা। বাচ্চাদের তিনটি ও কাপলদের ছয়টি বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়।

রংবেরঙের ফুল দিয়ে এক অভিনব সাজসজ্জায় নিজেদের সাজিয়েছিলেন প্রবাসী নারীরা। পার্কে উপস্থিত কৌতূহলী জাপানিদের বারবার ভিড় করে তা উপভোগ করতে দেখা গেছে। রাতের খাবার খেয়ে গ্রুপ আড্ডা দিতে দিতে দিনের আলোর বিদায়ের সঙ্গে আগামীবার আরও বর্ণিল আয়োজনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে পিকনিকের সমাপনী ঘোষণা করা হয়।

এই নারী সংগঠনের নেতারা নিজেদের নাম প্রচারে অনিচ্ছুক। তবে তাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠনের মাধ্যমে নারীদের জন্য কিছু কার্যক্রম গ্রহণের কথা তারা বলেন। জাপান-বাংলাদেশের মধ্যে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন নির্মাণে ভূমিকা রাখার জন্য তারা সদা তৎপর থাকবেন বলে জানান। আরও জানান, এই আয়োজনের কৃতিত্ব সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সাতজন সদস্যসহ সকলের। উপস্থিত সকলের সহযোগিতায় এই আয়োজন। তাই সফলতা ও ব্যর্থতার দায়-দায়িত্ব আমাদের সবার।

 

প্রজন্মনিউজ২৪/মামুন/নুর