হাওড়বাসীর কেউ না খেয়ে থাকবে না

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল, ২০১৭ ০২:৪৭:৪৮ || পরিবর্তিত: ৩০ এপ্রিল, ২০১৭ ০২:৪৭:৪৮

হাওড়বাসীর কেউ না খেয়ে থাকবে না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যতদিন পর্যন্ত ঘরে খাদ্য না থাকবে ততদিন হাওরাঞ্চলে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহ করা হবে। এ অঞ্চলের একজন মানুষও না খেয়ে থাকবে না।রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জের শাল্লায় এক সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৫২৪ মেট্রিন টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় সার-বীজ বিতরণ করা হবে। রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলো বিশেষ করে কৃষিঋণের সুদের হার অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে। যাতে ঋণ পরিশোধ করতে কৃষকদের উপর বেশি চাপ না পড়ে।

ইউনিয়ন পর্যায়ে ওএমএসের ডিলার নিয়োগ করে চাল বিক্রির জন্য খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওরাঞ্চলে ওএমএসের ডিলার নিয়োগ করা হবে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে যতদিন প্রয়োজন ততদিন খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাঁধ নির্মাণে কারও গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। হাওরাঞ্চলে ভবিষ্যতে আবাসিক স্কুল নির্মাণ করা হবে। যাতে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে তারা আশ্রয় নিতে পারেন।

এর আগে রোববার সকাল ১০টার দিকে বন্যাকবলিত হাওর এলাকা স্বচক্ষে দেখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনামগঞ্জের শাল্লায় পৌঁছান।প্রধানমন্ত্রীর  সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামসহ অন্য নেতাকর্মীরা রয়েছেন।

কয়েক দিনের টানা মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে আকস্মিক বন্যায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে এলাকার উঠতি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হাজার হাজার কৃষকের জীবিকা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বন্যায় সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোনা এবং ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

প্রজন্মনিউজ২৪/এস ডি

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন