বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ১০০ মিটারের সুড়ঙ্গ


বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে খুঁজে পাওয়া ১০০ মিটারের সুড়ঙ্গ নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। ইতোমধ্যে নিরাপত্তা জোরদার করেছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এবিষয়ে তদন্ত করতে পারে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এমনটা জানা যায়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর মতে, নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে গরু আনা-নেওয়ার জন্য পাচারকারীরা এ সুড়ঙ্গ তৈরি করে থাকতে পারে। বুধবার ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যর টানেলটি জেলার অরুগাচ গ্রামের আবিস্কার করে বিএসএফ।

বিএসএফের সহকারী কমান্ডার প্রমোদ জানান, সুড়ঙ্গটি সন্ত্রাসী কিংবা পাচারকারীরা তৈরি করে থাকতে পারে।

উত্তর দিনাজপুরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা রানি ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি ফতেহপুর গ্রাম থেকে বাংলাদেশে একটি সুড়ঙ্গ রয়েছে।

এজন্য তদন্ত প্রয়োজন। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।

পুলিশ এসপি অমিত কুমার জানান, এ বিষয়ে পূর্ণ তদন্ত করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিএসএফ এর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। আন্তর্জাতিক সীমারেখায় অবস্থিত এই সুরঙ্গ নিয়ে অনুসন্ধান করা হবে।

ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি খুঁজে বের করবে এর জন্য কারা দায়ী।

এর আগে বুধবার বিজিবি’র সরাইল রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহিদ হাসান  বলেছিলেন, সিলেট সীমান্তে সুড়ঙ্গের বিষয়টি তাদের জানা নেই। বিএসএফ তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি।

গত ২০ বছরে পাকিস্তান সীমান্তে অন্তত ছয়টি সুড়ঙ্গের সন্ধান পেয়েছে বিএসএফ। সবশেষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জম্মু ও কাশ্মির সীমান্তের সাম্ভা এলাকায় একটি সুড়ঙ্গের খোঁজ মেলে।

পাকিস্তান থেকে ভারতে অনায়াসে অনুপ্রবেশের জন্য এ সুড়ঙ্গ খোঁড়া হচ্ছিল বলে অনুমান করা হয়। সে সুড়ঙ্গটি ২০ ফুট দীর্ঘ এবং আড়াই ফুট চওড়া ছিল।

মার্চের শুরুর দিকে বাংলাদেশ সংলগ্ন মেঘালয় সীমান্তের কাছাকাছি ২০-২৫ ফুট গভীরে একটি সুড়ঙ্গের সন্ধান মিলেছিল। সীমান্তের কাঁটাতার থেকে এর দূরত্ব ছিল ২০০ মিটারের মতোন।

এবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরে সুড়ঙ্গ শনাক্ত করার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ সীমান্তে সুড়ঙ্গ শনাক্তের দাবি করল বিএসএফ।