নিজের বিয়ে বন্ধ করতে থানায় কিশোরী


নিজের বিয়ে আটকাতে সরাসরি থানায় গিয়ে উপস্থিত হল এক ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রঘুনাথগঞ্জ থানায়। মেয়েটির নাম রিয়া দাস (‌১৭)‌। সে স্থানীয় শ্রীকান্তবাটি হাই স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। মেয়েটি নিজেই বাবা মায়ের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

মেয়েটির অভিযোগ, আইনত সে এখনও নাবালিকা। একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। সে আরও পড়াশোনা করতে চায়। নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। তারপর বিয়ে। কিন্তু সে কথা শুনতে নারাজ তার বাবা মা। তারা এখনই বিয়ে দিতে চান। তার জন্য জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। তাই বিয়ে আটকাতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে বলে সে জানায়।  

অভিযোগ পেয়ে রঘুনাথগঞ্জ থানার আইসি সৈকত রায় রিয়ার বাবা-মাকে ডেকে পাঠান। নাবালিকার বিয়ের নেতিবাচক দিক তুলে ধরেন। এই বয়সে বিয়ে দিলে তাদের মেয়ের শারীরিক ও মানসিক যে প্রভাবটা পড়বে তা যে কতটা ক্ষতিকারক তা বোঝানো হয় তাদের। পড়াশোনার সময় যদি বিয়ে দেওয়া হয় তাহলে পরবর্তী সময় সংসার ও পরিবারের জন্য তাকে পড়া ছেড়ে দিতে হতে পারে, জানানো হয় তাদের।  

শেষে রিয়ার বাবা-মা নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন। তারা জানান, মেয়ের অনিচ্ছায় বিয়ে দেওয়া হবে না। লিখিত মুচলেকাও দেন।