ডাস্টবিন নয়, ময়লার ভাগাড় চট্টগ্রামের ফুটপাত


ডাস্টবিন ব্যবহার না করেই ফুটপাতে ময়লা ফেলা হয়। চিপসের মোড়ক, কাগজ, কলার খোসা, কোমল পানীয়র পরিত্যক্ত বোতল। এরকম বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে

রয়েছে। তবে কোন ডাস্টবিনে নয়। বরং ডাস্টবিনের পাশে ফুটপাতের ওপর জমে রয়েছে ময়লার স্তুপ। মানুষ আসছেন, ময়লা ফেলছেন। ডাস্টবিনের পাশে ফুটপাতের ওপর ময়লা

ফেলেই নিজেদের দায়িত্ব সারছেন তারা। এভাবেই ফুটপাত পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে।

নগরীর চকবাজার প্যারেড কর্নারের কেয়ারি ইলিশিয়াম মার্কেটের পাশের সড়কে দেখা গেছে এমন চিত্র। এখানে ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে

বসানো হয়েছে বড় আকারে একটি ডাস্টবিন।  কিন্তু ডাস্টবিনে না ফেলে ফুটপাতেই ময়লা ফেলছেন মানুষ।

 

শনিবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, মানিক উদ্দিন নামে ব্যবসায়ী যাচ্ছিলেন ডাস্টবিনে ময়লা ফেলতে। কিন্তু ডাস্টবিনে না ফেলে ময়লার প্যাকেট তিনি ফেললেন পাশের খোলা জায়গা।

এই জায়গা শুধু জসিম নয়, তার মতো এরকম অনেকেই ডাস্টবিন ব্যবহার না করে ময়লা ফেলছেন ফুটপাতে। তারা ডাস্টবিনের পাশের খালি জায়গাটি ময়লা ফেলার কাজে ব্যবহার

করছেন।

এদিকে আবর্জনার উৎকট গন্ধে ওই রাস্তা দিয়ে চলাফেরাই দায় হয়ে পড়েছে পথচারীদের জন্য। কোনরকমে নাকে হাত চেপে ধরে ওই রাস্তা দিয়ে চলাফেলা করছেন পথচারীরা।

গোলজার মোড়ের মো. সুমন নামে এক দোকানি বলেন, প্রায় দোকানিরা ডাস্টবিনে না ফেলে পাশের খোলা জায়গায় ময়লা ফেলেন।  এতে ওই জায়গা দিয়ে চলাফেরা দায় হয়ে পড়েছে।

ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতে সিটি করপোরেশন ১২০০ ভ্রাম্যমাণ ডাস্টবিন স্থাপন করেছে।

এছাড়া গৃহস্থালি বর্জ্য অপসারণ সহজ করতে নগরীর ঘরে ঘরে বিনামূল্যে ৯ লক্ষ বিন (ময়লা রাখার ঝুড়ি) পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

তারপরও ডাস্টবিনে আবর্জনা না ফেলে সড়ক ও ফুটপাতেই ফেলছেন মানুষ। এ ধরনের অসচেতনতার কারণে ভালো একটি উদ্যোগও সম্পূর্ণ কাজে লাগছে না বলে অভিমত

কর্তৃপক্ষের। সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বলেন, ‘শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ

সড়কের ফুটপাতে বড় বড় ডাস্টবিন বসানো হয়েছে। এ পর্যন্ত প্লাস্টিক ও টিনের প্রায় ১২০০ ডাস্টবিন বসানো হয়েছে। কিন্তু ডাস্টবিনগুলো শহরবাসী খুব একটা ব্যবহার

করছেন না। ডাস্টবিন ব্যবহারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। তবেই নগরীকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব।’

 

তিনি বলেন, ‘নগরীকে যেকোনো মূল্যে পরিচ্ছন্ন রাখতে চাই। এ কারণেই ডাস্টবিনগুলো বসানো হয়েছে। এগুলো ব্যবহারে নগরবাসীকে অভ্যস্ত করার জন্য সচেতনতামূলক

কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। স্কুল ও কলেজগুলোতে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান হচ্ছে। মেয়র মহোদয় আশা প্রকাশ করেছেন এ মাসের মধ্যেই চট্টগ্রামকে পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে

ঘোষণা দেওয়ার। যদি নগরবাসী এসব ব্যাপারে সচেতন হয়।

প্রজন্মনিউজ২৪/জোবায়ের/মিজান