শীতের আগেই হাতছানি দিয়ে ডাকছে খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পটগুলো

প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০২:৫৩:৫৪ || পরিবর্তিত: ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০২:৫৩:৫৪

শীতের আগেই হাতছানি দিয়ে ডাকছে খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পটগুলো

আবু বকর ছিদ্দিক : আবহমান বাংলার সবুজ প্রকৃতির অপরুপ বৈচিত্রের নৈসর্গিক লীলাভূমি পাহাড়ী জেলা খাগড়াছড়ি। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বকোণে এর অবস্থান। বাংলার সুন্দরীকন্যা খ্যাত এই খাগড়াছড়ির উঁচু নিচু অসংখ্য পাহাড় আর পাহাড়ের বুকে নাম না জানা হাজারো গাছের সবুজ পাতায় সজ্জিত পাহাড়কে মনে হয় যেন সবুজের অভয়ারণ্য।

উঁচু-নিচু ঢেউ তোলা সবুজ পাহাড়ের বুক চিরে কালো পিচের সর্পিল রাস্তা আর পাহাড়ের অপরুপ সৌন্দর্য যে কোন প্রকৃতি প্রেমির মন কাড়বেই এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। সবুজ, সুন্দর আর পাহাড়ের অপূর্ব মিতালী খাগড়াছড়ি কে গড়ে তুলেছে প্রকৃতির এক অপরুপ লীলাভূমি।

অনেক পর্যটকই খাগড়াছড়ি শহরকে নেপালের কাটমুন্ডু শহরের সাথে তুলনা করে থাকেন। পাহাড় ঘেরা চাঁদনী রাতে এখানকার দৃশ্যপটে ভিন্নমাত্রা এনে দেয়। এই পাহাড়ের চূঁড়ায় বসে দূর পাহাড়ের বুক চিরে সকালের সূর্যোদয় আর

সন্ধ্যায় সব আলোকে ম্লান করে সূর্যাস্তের দৃশ্য সত্যিই অপরূপ। মহান সৃষ্টিকর্তার আপনমনে অপরূপ সাজে সাজানো পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে ঢেউ খেলানো সৌন্দর্য্য, পাহাড়ি ঝর্ণারাজি দেশ-বিদেশের অনেক আকর্ষণীয় স্থানকেও হার মানাতে

পারে। চোখ জুড়ানো আর পাহাড়ের মাথা ছুয়ে যাওয়া মেঘ মল্লিকার দেশ খাগড়াছড়িতে রয়েছে অনেক আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট। বিভিন্ন উৎসব ও পর্যটন মৌসুমে দেশী, বিদেশী পর্যটকদের আনা-গোনায় মূখরিত থাকে পাহাড়ি এই জেলার পর্যটন স্পটগুলো। তাইতো শীত শুরু হওয়ার আগেই পাহাড়ের রাণি খ্যাত খাগড়াছড়ির পর্যটনকেন্দ্র গুলো বর্ণিল সাজে সেজে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের ডাকছে হাতছানি দিয়ে।

আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র :

এটি খাগড়াছড়ির ঐতিহ্যবাহী সুদৃশ্য নয়নাভিরাম স্পট। সূর্যাস্তের পর আলুটিলা থেকে খাগড়াছড়িকে দেখা যায় এক অপূর্ব রূপে। সবুজের বুক ছিড়ে সাপের মতো একে বেকে চলা চেঙ্গি নদীর দৃশ্য উপভোগ করা সত্যিই অপূর্ব।

আলুটিলার রহস্যময় সুরঙ্গ :

আলাদিনের জাদুর প্রদিপের সন্ধানে গা ছমছম করা অনভূতি নিয়ে দূর্গম সুরঙ্গ পথ পারি দিয়ে পাতালে নামা কল্পনার হলেও খাগড়াছড়ির রহস্যময় সুরঙ্গ কল্পনার নয় বরং বাস্তব। পাহাড়ের চূঁড়া থেকে ২৬৬টি সিঁড়ি বেঁয়ে নীচে নামলেই সেই রহস্যময় সুরঙ্গপথ। মাঝে মাঝে পিচ্ছিল এই সুরঙ্গ পথে আগুনের মশাল নিয়ে ঢুকতে হয় কিছুটা সাহসের সাথেই। সুড়ঙ্গের ভিতর টর্চ লাইট কিংবা মোবাইলের ফ্লাশ লাইট পুরোই অকেজো। তাই আগুনের মশাল অবশ্যই সাথে নিতে হয়। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এই সূরঙ্গের এক প্রান্ত দিয়ে প্রবেশ করে অন্য প্রান্ত দিয়ে বের হওয়া যায়।

তারেং :

খাগড়াছড়ির আকর্ষণীয় অন্যতম একটি পর্যটন স্পটের নাম হচ্ছে তারেং। এখান থেকে পুরো শহর দেখা যাবে প্রকৃতির অপূর্ব সাজে। সাপের মতো একে বেকে চলা চেঙ্গি নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য, চোখ জুড়ানো মেঘ মল্লিকার নয়নাভিরাম দৃশ্য যে কোন পর্যটকের মন কাড়বেই। এখানে আসলে মনে পড়ে যাবে, বান্দরবানের বিখ্যাত পর্যটন স্পট নীলগিরির কথা।

রিছাং ঝর্ণা :

আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র ও রহস্যময় গুহা থেকে কিছুটা দুরেই রয়েছে রিছাং নামক পাহাড়ি ঝর্ণা। শিরশির ছন্দে হিম শীতল ঝর্ণার বহমান স্বচ্ছ পানি যে কাউকেই কাছে টানবে খুব সহজেই। মুল সড়ক থেকে কিছুটা পথ পায়ে হেঁটে যেতে হবে স্বপ্নের রিছাং ঝর্ণায়। পাহাড়ী এই ঝর্ণান হিমেল পানিতে গা ভিজিয়ে আসার লোভ সামলানো সত্যিই কঠিন। তাইতো দেশী বিদেশি পর্যটকরা এই সুযোগটি হাত ছাড়া করতে চাননা।

সাজেক :

বাঘাইছড়ি উপজেলায় সাজেকের অবস্থান হলেও এর যোগাযোগ ব্যবস্থা খাগড়াছড়ি দিয়ে। এর অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ থেকে শুরু করে অনেক মন্ত্রী এমপি ও দেশের অনেক শীর্ষ রাজনীতিবিদ,বিশিষ্ট নাগরিকরা ছুটে এসেছেন বাংলার দার্জিলিং খ্যাত এই সাজেকে। কোথাও নীল আকাশ আবার কোথাও কালো মেঘের ভেলা, কোথাও ঝুম বৃষ্টি আবার কোথাও প্রখর রোদ। তবে সাজেকের পূর্ণ সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে সেখানে কাটাতে হবে কমপক্ষে একটি রাত।

দেবতা পুকুর :

খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণে মহালছড়ি উপজেলায় সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে প্রায় ১ হাজার ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের চূড়ায় দেবতা পুকুরের অবস্থান। কথিত আছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের জলতৃষ্ণা নিবারণের জন্য স্বয়ং জলদেবতা এ পুকুর খনন করেছেন। পুকুরের পানিকে স্থানীয় পাহাড়িরা দেবতার আর্শীবাদ বলে মনে করে। প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অজস্র নারী-পুরুষ পূন্য লাভের আশায় দেবতা পুকুর দর্শনে আসেন।

ভগবান টিলা :

মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এবং খাগড়াছড়ি জেলার সর্বোচ্চ উচ্চতার পাহাড় হলো এই ভগবান টিলা। এটির উচ্চতা ১৬০০ বর্গফুট। এই টিলা থেকে ভারত বাংলাদেশ একসাথে দেখা যায়। কথিত আছে, এই পাহাড়ের কোন এক জায়গা থেকে ছবি তুললে ওয়াশ করানোর পর তা কংকাল হয়ে যায়। তবে এই নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত বা সত্যতা আজো রহস্যের জন্ম দেয়। স্থানীয় অনেক উপজাতিদের ধারণা এই টিলা থেকে ডাক দিলে ভগবান সেই ডাক শুনেন তাই, এটিকে তারা ভগবান টিলা হিসেবেই চিনেন। এই পাহাড়ে যেতে তাইন্দং বিজিবির অনুমতির প্রয়োজন হয়।

তৈদু ছড়া ঝর্ণা :

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও দীঘিনালা উপজেলার সীমান্তস্থল দূর্গম সীমানা পাড়া গ্রামে এ ঝর্নার অবস্থান। আঁকা বাকা দূর্গম পথ পাড়ি দিয়ে অনেকখানি পথ পায়ে হেটে যেতে হয় এই নয়নাভিরাম পর্যটন স্পটে।

জলপাহাড় :

মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদরের একমাত্র বিনোদন মুলক পার্ক জলপাহাড় হতে পারে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। নাগরদোলা, ময়ুরপঙ্খী নৌকা, ট্রেন হয়ে উঠবে বিনোদনের অন্যতম খোরাক। মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রসাশনের উদ্যেগে নির্মিত নিরপাত্তা বেষ্টনীর মধ্যে এতো বড় সুযোগ শহরের পাশে আর কোথাও নেই।

হেরিটেজ পার্ক :

পাহাড়ের কোল ঘেঁষে সর্পিল প্রবাহ নিয়ে বয়ে যাওয়া চেঙ্গী নদীর কোলে জেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উঁচু পাহাড়ে অবস্থিত হেরিটেজ পার্ক ইতিমধ্যে পর্যটন কেন্দ্রের তালিকায় নিজের অবস্থান তৈরী করে নিয়েছে। পর্যটন পিপাসুদের কাছে হেরিটেজ পার্ক হয়ে উঠেছে নতুন ঠিকানা। সন্ধ্যায় এখানে বসে রঙের মেলা। আর পাহাড় ঘেরা প্রকতিতে বসে চাঁদনী রাতের দৃশ্যপটে এনে দেয় ভিন্ন মাত্রা। এখানের পর্যটকের জন্য আকর্ষণীয় পানীয় হচ্ছে গাছ থেকে পাড়া ফরমালিনমুক্ত বিভিন্ন দেশীয় তাজা ফলের জুস। এর মধ্যে পেপের জুস,তেতুলের জুস,কাচা আমের জুস, আনারসের জুস ইত্যাদি অন্যতম।

রামগড় চা বাগান :

সীমান্তের অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে খ্যাত আজকের বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন-বিজিবি‘র জন্মস্থান রামগড়। জেলার রামগড়ে সীমান্ত ঘেঁষে খাগড়াছড়ি জেলায় প্রবেশের সম্মুখভাগে খাগড়াছড়ি-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের দু’ধারে গড়ে উঠেছে বিশাল চা বাগান। যা খাগড়াছড়ির পর্যটন শিল্পকে করেছে স্বয়ং সম্পূর্ণ। বিশাল এলাকা জুড়ে এই চা বাগানে আসলে পর্যটকরা বুঝতেই পারবে না তারা চা বাগানের ভুমি খ্যাত সিলেট আছেন না পাহাড়ী কণ্যা খাগড়াছড়িতে।

জেলা পরিষদ পার্ক :

খাগড়াছড়ি শহরের জিরো মাইল নামক স্থানে প্রায় ২২ একর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে জেলা পরিষদ পার্ক। এখানে রয়েছে একটি ঝুলন্ত ব্রিজ,লেক,শিশুদের জন্য কিডস জোন, বিভিন্ন কটেজ ইত্যাদি।

অরণ্য কুটির :

খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় অবস্থিত এই বৌদ্ধ মন্দির যেখানে রয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম বৌদ্ধ মূর্তি যার উচ্চতা ৪৮ ফুট।

ঝর্ণাটিলা বিরাশি টিলা :

জেলার পানছড়ি তবলছড়ি সড়কের গৌরাঙ্গ পাড়া এলাকায় ঝর্ণাটির অবস্থান। এই ঝর্ণার পানিতে ভেসে আসে চিংড়ি মাছ। এই পাহাড়ের একটু উপরে উঠলেই বিরাশি টিলা এই পাহাড়ের উপর থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য দেখা যায়।

রামগড় ঝুলন্ত ব্রীজ লেক :

খাগড়াছড়ি জেলা সদর হতে ৫০ কি.মি. উত্তর-পশ্চিমে খাগড়াছড়ির প্রবেশদ্বার রামগড় উপজেলা। উপজেলা পরিষদের সম্মুখভাগে ইংরেজি অর ডব্লিউ এর অনুরূপ প্রায় ২৫০ মিটার লম্বা একটি হ্রদ। হ্রদের দুই পাশে রয়েছে মনোরম ফুলের বাগান। লেকের উভয় পাশে যোগাযোগের জন্য মাঝখানে রয়েছে সুদৃশ্য ঝুলন্ত সেতু। রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে বিভিন্ন স্মৃতি স্তম্ভ।

মানিকছড়ি রাজবাড়ী :

খাগড়াছড়ি-ঢাকা সড়কের খাগড়াছড়ি জেলার প্রবেশমুখ মানিকছড়ি উপজেলা সদরে রয়েছে খাগড়াছড়ির অন্যতম দশর্নীয় স্থান মানিকছড়ি রাজবাড়ি। রাজবাড়িতে রয়েছে মংসার্কেল চীফ (মংরাজা)‘র রাজত্বকালীন স্থাপত্য। রাজার সিংহাসন, মূল্যবান অস্ত্রশস্ত্রসহ প্রত্নতাত্ত্বিক অনেক স্মৃতি বিজড়িত এই রাজবাড়ী। নানাদিক থেকে দর্শনীয় হলেও মংরাজার উত্তারাধিকার সূত্র নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ ও জটিলতার কারণে রাজবাড়ীটি আজ চরম অবহেলিত।

পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র :

জেলা সদরের দীঘিনালা সড়কের আড়াই মাইল এলাকায় গবেষণা কেন্দ্রটি। প্রায় ১০০ একর বিশাল জায়গাজুড়ে এর অবস্থান। এখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-গাছালি লেক রয়েছে। শীতের মৌসুমে আসে হাজারো অতিথি পাখি।

শতবর্ষী বটগাছ :

মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদরের খুব কাছাকাছি আলুটিলা-বটতলী এলাকায় এ প্রাচীন শতবর্ষী বটবৃক্ষ শুধু ইতিহাসের সাক্ষী নয় এ যেন দর্শনীয় আশ্চার্য্যের কোন উপাদান। কালের বিবর্তণে সবাই শুনেছে বটগাছকে ঘিরে নানা কাহিনী। কখনো তা আনন্দের আর কখনো ভয়ের, আবার কখনো তা ঘুমপারানি পিসি-মাসি, কখনো তা রোগমুক্তির প্রতীক হিসাবে। আর এসব কিছুই কল্পনা নির্ভর কোনো কাহিনী। কল্প-কাহিনী যা-ই হোক শতবর্ষী এই বটগাছকে ঘিরে সময়ের ব্যবধানে মাটিরাঙ্গা হয়ে উঠতে শুরু করেছে সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে।

শিবছড়ি পাহাড় :

অপার সৌন্দর্য্যের আরেক নাম শিবছড়ি পাহাড়। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৬ কি.মি. দূরে দেওয়ানপাড়া এলাকায় অবস্থিত শিবছড়ি পাহাড়। পাহাড়ী ছড়া, নালা আর গভীর অরণ্য পেরিয়ে বোয়ালখালী নদীর পাশ ঘেঁষে সুউচ্চ পাহাড়ি ঝর্ণা ও সৌন্দর্য্যমন্ডিত বিভিন্ন পাথরের রূপ পর্যটকদের আকৃষ্ট করবেই।

কিভাবে আসবেন :

ঢাকা হতে খাগড়াছড়ির দূরত্ব ৩১৬ কি.মি. ও চট্টগ্রাম হতে ১০৯ কি.মি.। রাজধানী শহর ঢাকার কমলাপুর, সায়েদাবাদ, ফকিরাপুল, কলাবাগান থেকে সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে খাগড়াছড়িতে। সেন্টমার্টিন (এসি বাস), এস আলম, সৌদিয়া, শান্তি পরিবহন, ইকোনো, রিফাত, শ্যামলী ও ঈগল পরিবহনের ইত্যাদি বাসযোগে সরাসরি আসা যায় পাহাড়ের রাণি খাগড়াছড়ি। ঢাকা থেকে নন এসি বাসে আসতে ভাড়া গুনতে হবে জনপ্রতি ৫২০-৫৫০ টাকা। আর এসি বাসে ভাড়া লাগবে ৮৫০ টাকা। আর চট্টগ্রাম থেকে আসতে হলে অক্সিজেন অথবা কদমতলী বিআরটিসি বাস টার্মিনাল থেকে খাগড়াছড়ি অভিমুখী গাড়ীতে উঠতে হবে। অক্সিজেন থেকে রয়েছে শান্তি পরিবহন অথবা লোকাল বাস আর কদমতলী থেকে বিআরটিসি বাস। চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি আসতে জনপ্রতি ১৯০-২২০ টাকা আর লোকাল বাসে ১৫০ টাকা ভাড়া গুনতে হবে।

কোথায় থাকবেন :

খাগড়াছড়িতে থাকার ব্যবস্থা মোটামুটি ভালো। আধুনিক পর্যটন মোটেল সম্বলিত পর্যটন মোটেল ছাড়াও রয়েছে পাহাড়ের চূড়ায় ইমাং রির্সোস এন্ড নেচারাল রেস্টুরেন্ট,খাগড়াছড়ি রেষ্ট হাউস,অরণ্য বিলাস, হোটেল ইকোছড়ি ইন ইত্যাদি। ছাড়াও রয়েছে হোটেল গাইরিঙ,নুর মাউন্টেন,আল আমিন,শৈল সূবর্ণ, হোটেল আল-মাসুদ, হোটেল লবিয়ত, হোটেল ফোর স্টারসহ অনেকগুলো হোটেলে থাকতে পারবেন অনেক কম মুল্যে। হোটেলে সিঙ্গেল নন এসি ১০০০ টাকা, ডাবল নন এসি রুম ১০৫০-১২০০ টাকা। আর ডাবল এসি রুম ১৫০০-১৮০০ টাকা। আর ভিআইপি স্যুইট ২৫০০ টাকা।

প্রজন্মনিউজ২৪/আবু বকর

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ