ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জটিলতা নিরসনে নয়া উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ০১:৩৮:৫০ || পরিবর্তিত: ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ০১:৩৮:৫০

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জটিলতা নিরসনে নয়া উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ

মামলার তদন্তজট কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ। এর অংশ হিসেবে দ্রুত ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট পেতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশের এ নয়া উদ্যোগ ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট জটিলতাও কমছে। পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের এই নতুন ফরমুলা অন্যরাও অনুসরণ করছে। সংশ্লিষ্টরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট নির্ধারিত সময়ে না মেলায় সারাদেশে হাজার হাজার মামলার তদন্তকাজ ঝুলে আছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে অনেক মামলার ভবিষ্যৎ। ময়নাতদন্তকারী কর্তৃপক্ষ এবং রাসায়নিক পরীক্ষাগার সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে প্রশ্নের মুখে পড়ছে পুলিশ। যুগ যুগ ধরে এ অবস্থা চলে এলেও প্রতিকার মিলছে না।

এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ অফিস থেকে পৃথক দুটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাতে ভিসেরা রিপোর্ট দ্রুত সংগ্রহের জন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও একজন কনস্টেবল নিয়োগ করা হয়েছে। আর দ্রুত সময়ের মধ্যে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেতে প্রতি সপ্তাহে পেন্ডিং তালিকা করে চিঠি দিয়ে তাগাদা দিচ্ছেন পুলিশের সার্কেল কর্মকর্তা।
অন্যদিকে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে যেসব মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায় না সেসব মরদেহের ভিসেরা রিপোর্ট করতে হয়।

খাদ্যে কোনো ধরনের বিষক্রিয়ার মাধ্যমে হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে মৃতের স্ট্রমাক ও লিভার সংরক্ষণ করেন ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক দল। পরে তা পরীক্ষার জন্য মহাখালীতে সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। এ ক্ষেত্রে অনেক ঘটনায় স্ট্রমাক ও লিভার সংরক্ষণের পর তা ফ্রিজে রেখে মহাখালীতে পাঠাতে কাল বিলম্বের অভিযোগ রয়েছে। আবার পরীক্ষাগারে পাঠানোর পরও মাসের পর মাস ভিসেরা রিপোর্ট না পাওয়ার কারণে মামলার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তদন্তে জটিলতা কাটাতে রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়।
এ ক্ষেত্রে অনেক ঘটনায় স্ট্রমাক ও লিভার সংরক্ষণের পর তা ফ্রিজে রেখে মহাখালীতে পাঠাতে কাল বিলম্বের অভিযোগ রয়েছে। আবার পরীক্ষাগারে পাঠানোর পরও মাসের পর মাস ভিসেরা রিপোর্ট না পাওয়ার কারণে মামলার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তদন্তে জটিলতা কাটাতে ঢাকা রেঞ্জ অফিসের একজন এএসপির (ক্রাইম) নেতৃত্বে একজন পুলিশ কনস্টেবলকে এ জন্য বিশেষ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা ১৩ জেলার তদন্তাধীন যেসব মামলার ভিসেরা রিপোর্ট আটকে আছে তার কাজ করছেন।

গত বছরের জুন মাসে ঢাকা রেঞ্জে ব্যতিক্রমী এ কার্যক্রম চালুর ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট প্রাপ্তির জটিলতা অনেকাংশে কমে আসতে শুরু করেছে। এমনকি পেন্ডিং তালিকা ছোট হয়ে আসতে শুরু করেছে। এতে দ্রুত সময়ে শেষ হচ্ছে মামলার তদন্তকাজ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, পুলিশ প্রবিধান (পিআরবি) মতে পুলিশের কনস্টেবল পদমর্যাদার যে সদস্য মরদেহ নিয়ে মর্গে যান ময়নাতদন্ত শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে তার হাতে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তুলে দিতে হবে। কিন্তু বাস্তবে এর নজির খুবই কম। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তৈরিতে মাসের পর মাস সময় লাগে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এমনকি বাদী ময়নাতদন্ত রিপোর্টের জন্য মর্গ সংশ্লিষ্টদের কাছে ধরনা দেন। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য ঢাকা রেঞ্জের অধীন ১৩ জেলার অন্তর্গত থানার সার্কেল এএসপি বা সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাতদিন পর পর সংশ্লিষ্ট ময়নাতদন্তকারী কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে পেন্ডিং রিপোর্ট পেতে তাগাদা দিয়ে আসছেন।

প্রজন্মনিউজ২৪/হক

 

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ