প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারী, ২০২০ ১২:১৬:১২
যখন পর্যটকরা বনের মধ্যে প্লাস্টিক, কাগজপত্র ও খাবারের প্যাকেট ফেলেন, তখন সেটা গাছের শ্বাসমূলে গিয়ে আটকে থাকে, বনের বিভিন্ন পশু-পাখি এগুলো খেয়ে ফেলে, তখন তারা মারা যায়'সুন্দরবনে ঘুরতে আসা পর্যটকদের যত্রতত্র ফেলে দেয়া খাবারের প্যাকেট ও পানির বোতলসহ নানা রকম প্লাস্টিক বর্জ্য হুমকিতে ফেলছে বনের পশু-পাখি ও প্রাণীদের।জোয়ারের পানিতে মিশে খাবারের প্যাকেট ও পানির বোতলসহ নানা রকম প্লাস্টিক বর্জ্য বনের মধ্যে প্রবেশ করে গাছপালার শ্বাসমূলে আটকে যায়। এর ফলে গাছপালা মারা যাচ্ছে।
বনে থাকা পশু-পাখি প্লাস্টিকের প্যাকেট খেয়ে ফেলায় তারাও মারা যাচ্ছে।বন বিভাগের উদাসীনতার কারণে সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের মধ্যে বাগেরহাটের শরণখোলা ও মংলার করমজল, পশ্চিমের মধ্যে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কলাগাছি এবং খুলনা জেলার কয়রার হাড়বাড়িয়া এলাকায় আসা ভ্রমনকারীরা অনেকটা এলোমেলোভাবে ঘুরে বেড়ান।ঘুরে বেড়ানোর সময় তারা বনের বানর-হরিণকে নিজেদের সাথে আনা বিস্কুট, মুড়ি ও চিপসসহ নানা খাবার ছুড়ে দেন।
তাদের দেয়া এসব খাবার খেয়ে সুন্দরবনে থাকা প্রাণীরা অনেকসময় অসুস্থ হয়ে পড়েন।বনের কলাকাছি এলাকায় ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থী পাইকগাছা গ্রামের হাফিজুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জনান, “বনের বানরদের খাবার না দিলে তারা আমাদের তাড়া করে। ট্রলার থেকে নামতে দেয় না। আর হরিণকে খাবার দিলে তারা আমাদের কাছে চলে আসে, তখন খুব ভালো করে দেখা যায়।
হরিণের গায়ে হাতও দেয়া যায়।”পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়ক মাহফুজুর রহমান বলেন, সুন্দরবন হলো ম্যানগ্রোভ বন। এখানকার গাছের শ্বাসমূলটি সাধারণত ওপরে থাকে। যখন পর্যটকরা বনের মধ্যে প্লাস্টিক, কাগজপত্র ও বিভিন্ন রকমের খাবারের প্যাকেট ফেলেন, তখন সেটা গাছের শ্বাসমূলে গিয়ে আটকে থাকে। বনের বিভিন্ন পশু-পাখি এগুলো খেয়ে ফেলে।
তখন তারা মারা যায়।নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, “সরকারি কোনো বড় কর্মকর্তা করমজলে এলে তাদের বিনোদন হিসেবে কুমিরদের সামনে জীবিত মুরগি ছুড়ে দেয়া হয়, যা অত্যন্ত অসভ্যতা। বন বিভাগ যদি এ কাজটি করে, তাহলে সাধারণ পর্যটকদের কী দোষ? তাছাড়া পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য কলাগাছি ও হাড়বাড়িয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় হরিণকে আটকে রাখা হচ্ছে।
দেয়া হচ্ছে বাজারের নানারকম খাবার। পরে ছেড়ে দিলে তারা আর বনের খাবার খায় না। কিন্তু বাইরের খাবার খেয়ে প্রাণীরা প্রজনন ক্ষমতা হারাচ্ছে। এতে সুন্দরবনের পশুদের বংশবিস্তার হুমকির মুখে পড়ছে।”এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, “আমার পূর্ব বন বিভাগে প্রাণীদের বাইরের খাবার দেয়ার সুযোগ নেই।”
এসব বিষয়ে পর্যটকদের সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মদিনুল আহসান বলেন, “এভাবে প্রাণীদের খাবার দেয়ায় তারা অলস হয়ে পড়ছে।
সেই সঙ্গে তারা হিংস্রও হয়ে উঠছে। বানরগুলো পুরোপুরি ডাকাতে পরিণত হয়েছে। পর্যটকদের তাড়া করছে। এসব প্রাণী এখন বনের খাবার খেতে চায় না।”
প্রজন্মনিউজ২৪/নাজিম উদ্দীন
পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের বর্জ্যে নষ্ট হচ্ছে সৈকতের পরিবেশ
দায়িত্বের কাছে হার মেনেছে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা
তীব্র গরমে মানুষের পাশে সুপেয় পানি নিয়ে টিম খোরশেদ
চায়না বেইজিং বাংলাদেশ কমিউনিটির মিলনমেলা
খুলনায় যে ভাবে ৫০০ টাকা কেজি দরে গরু বিক্রি হবে
ট্রাফিক পুলিশের প্রতি সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন আইজিপি
হাকালুকি হাওরে বজ্রপাতে মহিষের মৃত্যু
ঢাকায় এখনো কাঁটেনি ছুটির আমেজ, ফাঁকা সড়ক
ঠাকুরগাঁওয়ে অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ
রমজানে ছিন্নমূল মানুষের জন্য ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে আলোর জাগরণী
Severity: Notice
Message: Undefined index: category
Filename: blog/details.php
Line Number: 417
Backtrace:
File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/blog/details.php
Line: 417
Function: _error_handler
File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/template.php
Line: 199
Function: view
File: /home/projonmonews24/public_html/application/controllers/Article.php
Line: 87
Function: view
File: /home/projonmonews24/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once