প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারী, ২০২০ ০৬:১৬:৪৮ || পরিবর্তিত: ২৬ জানুয়ারী, ২০২০ ০৬:১৬:৪৮
মোঃ নাজমুল, উপজেলা প্রতিনিধি (গাইবান্ধা সদর) : যৌতূক যেনো এক মহামারির রুপ ধারন করেছে গাইবান্ধাসহ উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলায়। সরকারিভাবে কোন আইনগত ব্যাবস্হা না থাকায় কিছুতেই থামছে না হিন্দুত্ববাদী যৌতূক প্রথা।
যার ফলে বেশিরভাগ পরিবারে লেগেই থাকছে কলহ বিবাদ আর অশান্তি। বাবা মা সময়মত যৌতূকের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় মেয়েদের উপর নেমে আসছে নানা অত্যাচার ও নির্যাতন। নানাভাবে বুঝিয়েও স্ত্রী তার স্বামীকে সঠিক পথে ফেরাত পারছেনা। এতে পারিবারিকভাবে নানা যন্ত্রনায় ভোগছে নারীরা।
হত দরিদ্র কিংবা দিন মজুরদের মেয়েরাই সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তারা যা রোজগার করে তা দিয়ে কোনমতে পরিবার চালায়। কিন্তু তারা যৌতূক এর টাকা জোগার করবে কিভাবে? কোনো ক্ষেত্রে মেয়ের বাবা মা নিরুপায় হয়ে নানাভাবে এসব অর্থ জোগাড় করছে। ফলে এসব লোনের বোঝা বইতে হচ্ছে বছরের পর বছর। এ অবস্থায় পরিবারে মেয়েরা হয়ে উঠছে আতঙ্কের কারণ।
গাইবান্ধা ফুলছরি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ের অস্হায়ী বাসিন্দা সাবু মিয়া (৪২) দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, নদী ভাঙ্গনে সব সম্পত্তি হারিয়ে গেছে নদীর পেটে। অন্যের জমিতে কামলা দিয়া কোনমতে পরিবার চলাম। তার ভিতরে দুই বেটি যুবতি কিন্তু যৌতকের জন্যে বিয়ে দিবার পাতিছোম না।
এ সম্পর্কে গাইবান্ধা ফুলছরি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের টিপু মিয়া (৪৫)যুক্তি দেখিয়ে বলেন, হিন্দু মেয়েদের বিয়ের পর বাবার সম্পত্তিতে কোন দাবি থাকে না তাই তাদের বিয়ের সময় যৌতূক বুঝে দেয়া হয়। কিন্তু মুসলমান মেয়েরা তো বাবার সম্পত্তিতে ভাগ পাবে ও তাদের দাবি আছে। তবুও যৌতূক এর জন্য নির্যাতনের শিকার হচ্ছে কেনো?
তাই প্রধানমন্ত্রির উদ্দেশ্য করে বলেন, দয়া করে বাল্য বিবাহের মতো যৌতূকের বিরুদ্ধে ব্যাবস্হা নেয়ার আহবান জানান।
ফুলকুঁড়ি আসর খুলনা মহানগরী শাখায় চৌকসদের নিয়ে ইফতার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
সিলেটে সর্বজনীন পেনশন স্কীমের উদ্বোধন
ঘরের কাজে ব্যস্ত মা, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
বশেমুরবিপ্রবি প্রকল্প পরিচালক সাময়িক বরখাস্ত
গুচ্ছ গ্রামের এক পুকুরে ধরা পড়ল ১০০ ইলিশ
গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্সের কর্ণধার নূর মোহাম্মদ আবু তাহের গ্রেপ্তার
পেট থেকে জীবন্ত মাছ বের করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলেন সেই ডাক্তার