তদবির না করায় শিক্ষা কর্মকর্তার আপত্তিকর ছবি দিলেন শিক্ষক

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারী, ২০২০ ০৬:৪২:০১

তদবির না করায় শিক্ষা কর্মকর্তার আপত্তিকর ছবি দিলেন শিক্ষক

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।তারা হলেন সহকারী শিক্ষক কয়েস আল কায়কোবাদ লাজুক (৪০), তার সহযোগী শামছুজ্জামান বাপ্পি (২৫) ও তৌহিদা আক্তার রুমা (৩২)। ইয়াবাসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) তাদের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তবে এখনও রিমান্ড শুনানি হয়নি। এর আগে সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে পৌর শহরের বালুয়াপাড়া মোড় এলাকা থেকে ইয়াবাসহ তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতার কয়েস আল কায়কোবাদ লাজুক উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের ধুরুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে ও উপজেলার ধূরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। শামছুজ্জামান বাপ্পি বোকাইনগর অষ্টগড় গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে ও তৌহিদা আক্তার রুমা পৌর সদরের সতিষা গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে।

পুলিশ জানায়, উপজেলার ধূরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কয়েস আল কায়কোবাদ ও তার সহযোগীরা নিজেদের ফেসবুক আইডিসহ বিভিন্ন ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তাসহ সুশীল সমাজের লোকজনের ছবির সঙ্গে অন্য কারও আপত্তিকর ছবি জোড়া দিয়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন ব্যক্তির এডিট করা অশ্লীল ছবি পোস্ট করে সম্মানহানি ও ব্ল্যাকমেইল করে আসছিলেন তারা।

তাদের এসব কুকর্মের কাছে সবাই ছিল অসহায়, কেউ প্রতিবাদের সাহস পায়নি। সর্বশেষ গৌরীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ফটোশপে এডিট করা আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন শিক্ষক কয়েস ও তার সহযোগীরা। সহযোগী রুমাকে দিয়ে অনেক লোককে জিম্মি করে মোটা অংকের টাকাও হাতিয়ে নিয়েছেন শিক্ষক কয়েস।

গৌরীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন বলেন, সোমবার রাতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সহকারী শিক্ষক কয়েসসহ তিনজনকে মাদক সেবন অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২১ পিস ইয়াবা ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা বর্তমানে জেলহাজতে। তাদের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার আদালতে আবেদন করা হলেও এখনও শুনানি হয়নি।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বরাতে ওসি বোরহান উদ্দিন বলেন, সহকারী শিক্ষক কয়েস কিছুদিন ধরে অন্যায়ভাবে চারজন শিক্ষককে বদলির জন্য শিক্ষা কর্মকর্তাকে সুপারিশ করে আসছিলেন। এতে রাজি না হওয়ায় নিজের ও তার নারী সহযোগী রুমার ফেসবুক থেকে শিক্ষা কর্মকর্তাকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে শিক্ষা কর্মকর্তার ফটোশপে এডিট করা আপত্তিকর ছবি পোস্ট করেন তারা। পাশাপাশি শিক্ষা কর্মকর্তার মেসেঞ্জারে অশ্লীল ছবি দিয়েছেন কয়েস।

প্রজন্মনিউজ২৪/নাজিম উদ্দীন

 

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined index: category

Filename: blog/details.php

Line Number: 417

Backtrace:

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/blog/details.php
Line: 417
Function: _error_handler

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/template.php
Line: 199
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/application/controllers/Article.php
Line: 87
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত



ব্রেকিং নিউজ