না খেলে বিশ্রাম নেওয়া মুশফিকের কাছে ‘পাপ’

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারী, ২০২০ ০১:৪৩:৫১

না খেলে বিশ্রাম নেওয়া মুশফিকের কাছে ‘পাপ’

পরিবারের আপত্তির কারণে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন না মুশফিকুর রহিম। মূলত নিরাপত্তার কারণে তাকে নিয়ে তার পরিবারের শঙ্কা। এজন্যই বাংলাদেশ দলের সঙ্গে সেখানে কোনো সিরিজ খেলতে যাচ্ছেন না তিনি। একই কারণে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) থেকেও নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। শুক্রবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, আমি ইতিমধ্যে বলে দিয়েছি পাকিস্তানে যাব না।

এ সিদ্ধান্ত বহু আগে নিয়েছি আমি এবং আমাদের বোর্ডকে অবহিত করেছি। আমি একটি চিঠিও আবেদনাকারে জমা দিয়েছি। আমার পরিবার উদ্বিগ্ন। তারা আমাকে সেখানে যেতে দিতে চায় না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের হয়ে না খেলার চেয়ে আমার কাছে আর বড় কোনো পাপ নেই। আমি পিএসএলে খেলার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ পুরো টুর্নামেন্টটি হবে পাকিস্তানে। আমার পরিবার এতে সম্মত নয়।

এফটিপি অনুযায়ী, চলতি মাসের শেষ দিকে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি এবং দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু নিরাপত্তা অজুহাতে সেখানে শুধু টি-টোয়েন্টি খেলতে চান টাইগাররা। আর নিরপেক্ষ ভেন্যুতে টেস্ট খেলতে চান তারা। তবে বেঁকে বসে পাকিস্তান। অবশেষে গেল ১৪ জানুয়ারি দুই দেশের বোর্ডের সমঝোতায় বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর নিশ্চিত হয়। ওই দিন দুবাইয়ে আইসিসির সদর দফতরে জরুরি বৈঠকে বসে বিসিবি-পিসিবি।

সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী, জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে তিন ভাগে ভাগ হয়ে পাকিস্তানে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে যাবে বাংলাদেশ। প্রথম দফায় ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে এ সফর। এদিন লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হবে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। সেখানেই ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বাকি দুই ম্যাচ। এ ছাড়া আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় ধাপে ৭-১১ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলবেন তারা। এর পর দেশে ফিরে আসবেন সফরকারী ক্রিকেটাররা। আবার এপ্রিলে পাকিস্তানে যাবে বাংলাদেশ। ৩ এপ্রিল করাচিতে একমাত্র ওয়ানডে খেলবেন তারা। পরে ৫-৯ এপ্রিল সেখানেই দ্বিতীয় টেস্ট খেলবে দুদল। তবে পাকিস্তানে ভবিষ্যতে কখনও খেলবেন না মুশফিক।

এ রকম কিছু বলেননি তিনি। নির্ভরযোগ্য এ ক্রিকেটার বলেন, দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এর সঙ্গে একমত। তবে এখনও পুরোটাই হয়নি। আগামী দুই বছর সেখানে নিয়মিত দল গেলে সেটি বোঝা যাবে। তা হলেই আমি আত্মবিশ্বাস ফিরে পাব। অতীতে আমিও সেখানে গেছি। ক্রিকেট খেলার জন্য সেটি চমৎকার জায়গা।

তথ্যসূত্র: ইএসপিএন ক্রিকইনফো।

প্রজন্মনিউজ২৪/ মামুন

 

 

 

 

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন