পূজার কক্ষ বাদ দিয়ে বাকিগুলোতে ভোট : ইসি সচিব

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারী, ২০২০ ০৭:১১:২৮ || পরিবর্তিত: ১৪ জানুয়ারী, ২০২০ ০৭:১১:২৮

পূজার কক্ষ বাদ দিয়ে বাকিগুলোতে ভোট : ইসি সচিব

আগামী ৩০ জানুয়ারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যেসব কক্ষে সরস্বতী পূজা হবে সেগুলো বাদ দিয়ে অন্য কক্ষগুলোতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি-ডিএসসিসি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে হিন্দু সম্প্রদায় ৩০ জানুয়ারি ভোটের দিন পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছিল। সেদিন সরস্বতী পূজার আয়োজন থাকবে বলে বিষয়টি নিয়ে আদালতে রিটও করা হয়। মঙ্গলবার আদালত রিট খারিজ করে দেন। ফলে ৩০ জানুয়ারিই দুই সিটিতে ভোট হবে।

ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, ‘তাত্ত্বিক দিক থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূজা হওয়ার কথা থাকলেও কিন্তু হয় না। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হবে, সেখানে তারা পূজা করবেন। তাদের জন্য আলাদা জায়গা থাকবে। পূজার জায়গাগুলোকে ছেড়ে দিয়েই বাকি রুমগুলোতে ভোট হবে। যেখানে পূজা হবে সেই কক্ষ বাদ দিয়ে অন্য কক্ষগুলোতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। পূজার জায়গায় পূজা চলবে, নির্বাচনের জায়গায় নির্বাচন চলবে।’

পূজা দেখতে সাধারণ মানুষ যাবে, এতে কেন্দ্রের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রে ভোটাররা যেতেই পারবেন। অবাধে ভোট দিতে পারবেন। আর পূজা যেখানে হবে সেটা তো বলাই হলো যে, যে সাইটে পূজা হবে, সেটা আলাদা করাই থাকবে। সেখানে মানুষ যেতে পারবে।’

আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন মানে এমন নয় যে সেটা মারামারির জায়গা, অতএব সেখানে পূজা করা যাবে না। পূজা যেখানে হবে এমন নয়তো যে, সেখানে নির্বাচন করা যাবে না। দুটোই করা যাবে একসাথে। নির্বাচন ও পূজা দুটোই পবিত্র কাজ।’

ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে গতকাল সোমবার (১৩ জানুয়ারি) হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বলেছে, সিটি নির্বাচনের দিন পরিবর্তন না করার কারণে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হলে তার দায়িত্ব সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নেবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির এ জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হবে, কেন তারা এ ধরনের কথা বলেছেন, আমাদের সেটা বোধগম্য হয়নি। কারণ, সনাতন ধর্মাবলম্বীদেরও তো দেশের আইন-কানুন মেনেই চলতে হয়। আমরা মনে করি না যে, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ঘটবে। আদালতের রায় সবাই মাথা পেতে নেবে বলেই আমরা মনে করি।’

আদালতের রায়ের পর শাহবাগ অবরোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সচিব বলেন, ‘তারা রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা রাখবে, এটাই বিশ্বাস করি। আদালত যেখানে রায় দিয়েছে, সেখানে কমিশন কিংবা আপনাদের-আমাদের বিষয় নয়। আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।’

আলমগীর বলেন, ‘আদালত উভয় পক্ষের কথা শুনেছেন। তারাও বিবেচনা করে দেখেছেন, ৩০ জানুয়ারি সর্বোত্তম দিন। এ জন্য তারা মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন। তারা বলেছেন, ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন করতে কমিশনের কোনো বাধা নেই। আমরা ৩০ জানুয়ারিকে সামনে রেখেই কাজ করে যাচ্ছি। তারা আপিল করতে চাইলে সেটা করতে পারেন।’

প্রজন্মনিউজ২৪/সজীব

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ