প্রকাশিত: ০৬ জানুয়ারী, ২০২০ ০৪:০৪:২৩
ঢাকার চকবাজারে পাওনা টাকা পরিশোধের কথা বলে ডেকে এনে ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান বাহারকে (৪৫) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সফিউল আজম এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নুরু মিয়া, জিয়াউল হক, লোকমান খান ও কাদির হোসেন। রায় ঘোষণার সময় জিয়াউল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্যরা পলাতক।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আবদুল হান্নান বাহার নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার অম্বরনগর গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে। তিনি ঢাকার চকবাজারে কসমেটিক ও ইমিটেশনের ব্যবসা করতেন।
২০১৪ সালের ৪ আগস্ট বাহার কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা এলাকায় পাওনা টাকা আদায়ে পাইকার লোকমান খানের কাছে যান। এসময় পাওনা টাকা পরিশোধ করবেন বলে বাঙ্গরা বাজারে বাহারকে ডেকে নেন লোকমান।
পরে তার শ্বশুরবাড়িতে বেড়ানোর নাম করে তাকে ইঞ্জিনের নৌকায় তোলেন। এরপর নৌকায় আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য বাহারের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে টাকা দাবি করা হয়। আসামিরা ৪ আগস্ট থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত বাহারের হাত-পা বেঁধে তাকে নির্যাতন করেন তারা। কিছু টাকা আদায়ের পর আরও টাকার জন্য বাহারকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
৬ আগস্ট রাতে আসামিরা বাহারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর লঞ্চঘাটের বিপরীত দিকে তিতাস নদীতে ফেলে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ৮ আগস্ট নদী থেকে বাহারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর পর দিন বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন তার ছোটভাই বেলাল হোসেন।
মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এস এম ইউসুফ। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমার কাছে মনে হয় রায়টি সঠিক হয়নি। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।
প্রজন্মনিউজ২৪/রেজাউল
জৌলুশ হারাচ্ছে বাংলা নববর্ষের হালখাতা
খুবিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
ভারতে লোক সভা নির্বাচন, ৩ দিন বন্ধ থাকছে বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট
গরমে অতিষ্ঠ খুলনাবাসী; প্রয়োজন ছাড়া বের হন না কেউ
প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যাচ্ছেন আরও ৫০ বিচারক
সেই জাহাজে করে দেশে ফিরতে চায় না ২ নাবিক
বৃহত্তম ব্ল্যাকহোলের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা
বিএসএফের গুলিতে আহত সাবেক ইউপি সদস্য