প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১০:২৪:৪৪
তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় সারাদেশে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে যান চলাচল ব্যহত হচ্ছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় শীতের কারণে ব্যহত হচ্ছে মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্ম। বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নিম্মআয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বাড়ছে শীতকালীন নানা রোগব্যাধি।
স্বাস্থ্য অধিদফতর রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত শীতকালীন রোগে ৪৯ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে এআরআইতে ১৬, ডায়রিয়ায় ৪ এবং অন্যান্য রোগে ২৯ জন। চট্টগ্রাম বিভাগেই মারা গেছেন ২২ জন। রংপুর বিভাগে ১৩ জন এবং বরিশালে ৫ জন মারা গেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মৌসুমী এসব রোগের সাথে বাড়ছে এলার্জির প্রকোপসহ বিভিন্ন চর্মরোগ। অন্য দিকে এই সময়টাতে রোটা ভাইরাসের কারণে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ভাইরাল ডায়রিয়ায়। বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় বাতাসে অতিমাত্রায় ধূলোবালি বাড়তে থাকে, সইসাথে বাড়তে থাকে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া। এ ধরনের শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তবে এসব ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এ ধরনের ঠা-াজনিত রোগ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।ঢামেকের পরিচালক ব্রি. জে. নাসির উদ্দিন আহমেদ সার্বক্ষণিক চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার তথ্য অনুযায়ী, ১৬ ডিসেম্বর (সোমবার) থেকে ২২ ডিসেম্বর (রোববার) সকাল ৮টা পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১৫ হাজার ৭৭ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫ হাজার ৫১৪ জন ভর্তি হয়েছেন। শুধু তাই নয়, শীত শুরুর পর ১ নভেম্বর (শুক্রবার) থেকে ২২ ডিসেম্বর (রোববার) পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ১ লাখ ৯১২ জন ভর্তি হয়েছেন। শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩৯ হাজার ৭৮৮ জন হাসপাতালে এসেছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রাজেশ মজুমদার বলছেন, ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে নতুন নতুন কিছু রোগব্যধির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এর মধ্যে বেশি রোগব্যাধি হয় শীতকালে। এবারও শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সর্দি, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, বাত-ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ব্রংকাইটিস, টনসিলের ব্যথা ও প্রদাহসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে শীতকালীন রোগব্যধিতে ৬ মাস থেকে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বেশী। সাধারণ ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যাই বেশি।
প্রজন্মনিউজ২৪/রেজাউল
জৌলুশ হারাচ্ছে বাংলা নববর্ষের হালখাতা
খুবিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
রায়পুরায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নিহত ১
বৃহত্তম ব্ল্যাকহোলের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা
ট্রাকচাপায় একই পরিবারের দুইজনের মৃত্যু
বাংলাদেশে ঢুকল মিয়ানমারের আরও ৪৬ বিজিপি সদস্য
চাঞ্চল্যকর মামলার আপিল শুনানিতে গতি নেই