মাদক ব্যবসায়ীকে সভাপতি বানালো ছাত্রলীগ

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০৬:৩৪:৩৯ || পরিবর্তিত: ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০৬:৩৪:৩৯

মাদক ব্যবসায়ীকে সভাপতি বানালো ছাত্রলীগ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: সম্মেলনের দীর্ঘ ১৯ মাস পর কমিটি গঠিত হওযার ২২দিনের মাথায় অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা ও কলেজ ছাত্রলীগকে বিলুপ্ত করে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। বিলুপ্তি হওয়ার ২দিনের মাথায় কমিটি ঘোষণা হলেও আবারো নতুন করে বির্তকের জন্ম হয়েছে। এ নিয়ে বার বার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্রলীগ।

গত শনিবার মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিরুল হোসেন চৌধুরী আমীন ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলমের স্বাক্ষরিত প্যাডে এক বছরের জন্য জুড়ী উপজেলা ও কলেজ ছাত্রলীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটিতে আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন সাবেলকে সভাপতি ও ইকবাল ভূইয়া উজ্জলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। অথচ বর্তমান সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেলের বিরোদ্ধে রয়েছে মাদক ব্যবসা ও ডাকাতির অভিযোগ।

আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে জুড়ী কলেজ ছাত্রলীগের নতুন কমিটিও ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ। আগের কমিটির সহ সভাপতি আশফাক আহমদ আদনান কে সভাপতি ও গৌতম দাশ কে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। অপরদিকে জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়ছল আহমদকে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত করা হয়। তার বিরোদ্ধে ছাত্রলীগের বয়সসীমা পার হওয়ার অভিযোগ আছে। এমনকি তার বাবা ডাকাতি মামলায় কারাবন্দি রয়েছেন।

জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিক প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে গত ১৫ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  এবং সবকটি অভিযোগের সত্যতা পায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গঠিত তদন্ত কমিটি। অভিযোগের ভিত্তিতে কমিটি বিলুপ্ত করা হলেও আবারো অভিযুক্তদের পদায়ন করা হয়।

নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের এক কর্মী জানান, যেখানে মাদকের বিরোদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর অবস্থান। ঠিক সেই সময়ে বিতর্কের জন্ম দিল কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্রলীগ। যে অভিযোগের কারণে আগের কমিটি বাতিল করা হয়েছে সেই কমিটির সাধারণ সম্পাদককে আবারো সভাপতি করা হলো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ছাত্রলীগ কর্মী জানান, মাদকের অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া আর কাউকে ছাত্রলীগের সভাপতি বানানোর জন্য পাওয়া গেল না। বিষয়টি খুবই হতাশাজনক।

এর আগে উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের দীর্ঘ ১৯মাস পর ১৩ নভেম্বর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমীরুল হোসেন চৌধুরী আমীন ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলমের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এক বছরের জন্য ১৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। এরপরেই পদপ্রাপ্ত নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিস্ফোরণ হয়। এমনকি কমিটি ঘোষণার পর থেকেই স্থানীয় সংসদ সদস্য পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন আহমদের বিপত্তি বাদে। মন্ত্রী, স্থানীয় আ.লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পাঠানো তালিকা ডিঙ্গিয়ে কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ। যা গড়ায় কেন্দ্র পর্যন্ত।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম জানান, সাবেলের বিরোদ্ধে মাদকের অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। চাইলেই যেকোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে  ব্লেইম দেওয়া যায় না। অভিযোগ প্রমানিত হতে হবে।

প্রজন্মনিউজ২৪/মারুফ/জাহিদ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ