আবার ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিল সরকার

প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১২:০৬:০৩

আবার ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিল সরকার

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে এ-সংক্রান্ত একটি ঋণচুক্তি সই হয়েছে। চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং এডিবির পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশে নিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ সই করেন।
   
ঢাকা ও পশ্চিমাঞ্চলের বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে গ্রিড সঞ্চালন ব্যবস্থা সম্প্রসারণের জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ নিল সরকার।

এছাড়াও প্রকল্প চুক্তিতে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) পক্ষে জামিল আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী ও এডিবির পক্ষে মনমোহন প্রকাশ সই করেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইআরডি সূত্র জানায়, ‘ঢাকা এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রিড সঞ্চালন ব্যবস্থা সম্প্রসারণ’ নামের এই প্রকল্পে মোট খরচ হবে ৭৫০ (পাঁচ হাজার ৯৪৯ কোটি ৯৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা) মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে এডিবির কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকার ঋণ নেবে ৩০০ মিলিয়ন ডলার, এই ঋণচুক্তিই সই হয়।

পিপলস রিপাবলিক অব চায়না পভার্টি রিডাকশন অ্যান্ড রিজিওনাল কো-অপারেশন ফান্ড থেকে দশমিক ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান পাবে সরকার।

এছাড়াও সহ-অর্থায়নকারী হিসেবে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) থেকে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ নেবে সরকার। বাকি ২৪৯ দশমিক ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে জোগান দিতে হবে।

এডিবির দেয়া ওসিআর ঋণ পাঁচ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য এবং সুদের হার ইউরো ইন্টারব্যাংক অফার্ড রেট ভিত্তিক দশমিক ৫০ শতাংশ। এছাড়া ওসিআর ঋণের জন্য দশমিক ১০ হারে ম্যাচুরিটি প্রিমিয়াম এবং অব্যয়িত অর্থের ওপর দশমিক ১৫ হারে কমিটমেন্ট চার্জ প্রযোজ্য হবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, গত ২৬ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পটি বিদ্যুৎ বিভাগের উদ্যোগে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) বাস্তবায়ন করছে।

এই প্রকল্পের আওতায় ২২ কিলোমিটার ৪০০ কেভি সঞ্চালনলাইন নির্মাণ, ১৪৪ কিলোমিটার ২৩০ কেভি লাইন, ২৪২ কিলোমিটার ১৩২ কেভি লাইন, দুটি ৪০০ কেভি উপকেন্দ্র, তিনটি ২৩০ কেভি উপকেন্দ্র, ১০টি ১৩২ কেভি উপকেন্দ্র এবং ২০টি ১৩২ কেভি বে-সম্প্রসারণ নির্মাণ করা হবে।

ঢাকা বিভাগের ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, কালিগঞ্জ, রূপগঞ্জ, ভাঙ্গা, শিবচর, মাদারীপুর সদর ও মোকসেদপুর উপজেলা; বরিশাল বিভাগের ভোলা সদর, ঝালকাঠি সদর, মির্জাগঞ্জ, পিরোজপুর সদর, রাজাপুর ও ভাণ্ডরিয়া উপজেলা; খুলনা বিভাগের বাগেরহাট সদর, কচুয়া, রূপসা, ভাটিয়াঘাটা, কেশবপুর, মনিরামপুর, কালিগঞ্জ, মহেশপুর, ডুমুরিয়া, ফুলতলা, কুষ্টিয়া সদর, মিরপুর, রাজৈর, গাংনী, মেহেরপুর সদর, সাতক্ষীরা সদর ও তালা উপজেলা; রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর, নিয়ামতপুর ও পত্নীতলা উপজেলা এবং রংপুর বিভাগের বীরগঞ্জ, কাহারোল, খানসামা, হাতিবান্ধা, ডিমলা, ডোমার ও নীলফামারী সদর উপজেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।জাগোনিউজ


প্রজন্মনিউজ২৪/আঃমান্নান

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ