রোহিঙ্গা গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে সুচির প্রতি নোবেল জয়ীদের আহ্বান

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০৩:৫৯:০৫

রোহিঙ্গা গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে সুচির প্রতি নোবেল জয়ীদের আহ্বান

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যাসহ যেসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তার স্বীকৃতি দেয়ার জন্য অং সান সু চি’র প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন এমন আটজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশের অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ এই নোবেল বিজয়ীরা এক বিবৃতিতে বলেন, সেনাবাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বের পাশাপাশি অং সান সু চি’র সংঘটিত ফৌজদারী অপরাধের জন্য অবশ্যই জবাবদিহি করা উচিত।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এই কারণে যে এসব অপরাধের নিন্দা না জানিয়ে অং সান সু চি বরং এটা সক্রিয়ভাবে অস্বীকার করছেন যে, এ ধরণের অপরাধ আদৌ ঘটেছিল।’দ্য হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার করা মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি যুক্তি তুলে ধরবেন বলে কথা রয়েছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘শান্তির পক্ষের মানুষ হিসেবে আমরা অং সান সু চি’র প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তিনি যেন রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলা বৈষম্য অবসানের ব্যবস্থা নেন এবং রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব, ভূমির মালিকানা, চলাচলের অধিকার এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে কাজ করেন।’

মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্য যারা বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন, তারা হলেন শিরিন এবাদি (ইরান-২০০৩), লেমাহ গবোয়ি (লাইবেরিয়া-২০১১), তাওয়াক্কল কারমান (ইয়েমেন-২০১১), মাইরিড মাগুয়ের (উত্তর আয়ারল্যান্ড-১৯৭৬), রিগোবার্তো মেনচু তুম (গুয়াতেমালা-১৯৯২), জোডি উইলিয়ামস (যুক্তরাষ্ট্র-১৯৯৭) ও কৈলাশ সত্যার্থি (ভারত-২০০৬)।

এ পর্যন্ত তিনজন শান্তিতে নোবেলজয়ী বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন। এরা হলেন তাওয়াক্কল কারমান, শিরিন এবাদি এবং মাইরিড মাগুয়ের। রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের সময় নোবেলজয়ীরা শরণার্থী নারীদের সাথে সময় কাটান এবং তাদের সাথে কথা বলে নির্যাতনের কাহিনী শোনেন।

কীভাবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গ্রাম জ্বালিয়েছে এবং নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণ করেছে - তারে কাছে তা শোনার পর এবং জাতিসঙ্ঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনের পর তারা একমত হন যে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। তারা মিয়ানমারে গিয়ে অং সান সু চি’র সাথে দেখা করে এ বিষয়ে কথা বলতে দেশটিতে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করলেও তা অনুমোদিত হয়নি।

২০১৭ সালের আগস্টের পর বাংলাদেশে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না থাকায় বেশ কয়েকবার প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেয়া হলেও দেশে ফিরতে রাজি হয়নি রোহিঙ্গারা। সূত্র : বিবিসি

প্রজন্মনিউজ২৪/জাহিদ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ