পাহাড়ের প্রতিটি ঘরে পৌঁছাবে বিদ্যুতের আলো : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০৫:৪৩:১৩ || পরিবর্তিত: ২৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০৫:৪৩:১৩

পাহাড়ের প্রতিটি ঘরে পৌঁছাবে বিদ্যুতের আলো : প্রধানমন্ত্রী

পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সরকার সব সময় সচেষ্ট জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিদ্যুতের আলো পাহাড়ের প্রতিটি ঘরে পৌঁছাবে।’ আজ বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চারটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘’৯৬-এ সরকার ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ নিলেও পরবর্তী সময়ে খালেদা জিয়া প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তা বন্ধ করে দেন।’

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে মোবাইল-টেলিফোন ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল বিএনপি সরকার। আমরা এসে সেই মোবাইল ফোন চালু করে দিই। এবং ওই অঞ্চলে বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য যেহেতু গ্রিড লাইন করা সম্ভব নয়, যথেষ্ট দুর্গম অঞ্চল। এক একটা এলাকা থেকে আরেকটা এলাকা অনেক দূর, সে জন্য আমরা সেখানে ব্যাপক হারে সোলার প্যানেল দেওয়া শুরু করি। অর্থাৎ প্রতিটি ঘরে আমরা আলো জ্বালব, এটাই আমাদের লক্ষ্য। কোনো ঘর যেন অন্ধকার না থাকে।’

সারা দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধা পেলেও মুজিববর্ষের আগেই শতভাগে নিতে চায় সরকার। সেই লক্ষ্যে পার্বত্যাঞ্চলের দুর্গম এলাকায়ও সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এরই অংশ হিসেবে পাহাড়ি অঞ্চলের পরিবার ও সম্প্রদায়ের মধ্যে ১৩ হাজার ৪০৭টি সোলার প্যানেল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ পার্বত্যাঞ্চলকে নিয়ে সরকারের ভাবনার কথা জানিয়ে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কাপ্তাই লেকের মাছ ও জলজ পরিবেশের ওপর ভাসমান গবেষণা তরী ও শিপিং করপোরেশনের পাঁচটি সমুদ্রগামী জাহাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সড়কের পাশাপাশি নৌপথের আধুনিকায়ন ত্বরান্বিত করার কথা জানান তিনি।

তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন, নিরাপদ ডাটা সংরক্ষণ সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে গাজীপুরে ফোর টায়ার জাতীয় ডাটা সেন্টারের যাত্রা শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি-জামায়াত দেশকে তথ্যপ্রযুক্তি থেকে পিছিয়ে রেখেছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার আগ্রহ দেখে নেদারল্যান্ডস সরকার এগিয়ে আসে। তারা আমাকে বলল, অর্ধেক দামে, অর্থাৎ অর্ধেক অনুদান তারা দেবে, আর অর্ধেক দাম আমরা দেব, সেভাবে ১০ হাজার কম্পিউটার তারা আমাদের দেবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরো অভিযোগ করেন, ‘২০০১ সালে নির্বাচনে জিততে পারিনি, ক্ষমতায় আসতে পারিনি, এলো বিএনপি সরকার। টিউলিপ নামে নিয়ে হলো বিভ্রাট। বিভ্রাটটা হলো শেখ রেহানার মেয়ের নাম যেহেতু টিউলিপ, তো নেদারল্যান্ডসের ওই কোম্পানির নামও টিউলিপ। এক নামের প্রতি হিংসা দেখাতে গিয়ে খালেদা জিয়া প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে বাংলাদেশের ৩২ কোটি টাকা গচ্চা দিল।’

পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চারটি প্রকল্পে দেশের চার প্রান্তে উপস্থিত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রজন্মনিউজ২৪/রেজাউল

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন