হাত নেই তবুও জীবন সংগ্রামে থেমে জায়নি আয়শা

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০১:১৫:১০

হাত নেই তবুও জীবন সংগ্রামে থেমে জায়নি আয়শা

গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রতিনিধি: জন্ম থেকেই দুই হাত নেই। তবুও থেমে নেই কিছু-রান্নাকরা, কম্পিউটার চালানো, মুঠোফোন চালানো সবই করেন পা দিয়ে। পায়ের আঙ্গুলে কলম চালিয়েই পড়ছেন স্নাতকোত্তরে। অসম্ভবকে সম্ভব করেই জীবন চালাচ্ছে আয়েশা (২৪)।

আয়েশা (২৪) এর বাড়ী গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া গ্রামে। বাবা আঃ লতিফ গরিব কৃষক।মা মাজেদা বেগম গৃহিনী।চার বোনের মধ্যে আয়শা ৩য় বোন। আয়শা বর্তমানে গাইবান্ধা সরকারি কলেজে স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষে পড়ছেন।

আয়শার মা মাজেদা বেগম বলেন:- আয়শার জন্মের পর ওর ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় পড়ি। শিশু কালে হাটতে একটু সমস্যা হলেও সাড়ে চার বছর বয়সে হাটতে শেখে আয়শা। বড় দুই বোন পড়তে বসলে আয়শা আগ্রহ নিয়ে পাশে বসে থাকতো। আগ্রহ দেখে ওকে স্কুলে নিয়ে যেতে শুরুকরে বোনেরা। পরে আয়শাকে স্কুলে ভর্তি করেদেই।

আয়শার বড়বোন নুরজাহান বেগম বলেন আয়শা ২০১২ সালে কচুয়াহাট এইচ আর এম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৩.৯৯ পেয়ে এসএসসি পাশ করেন। আবার ২০১৪ সালে সাঘাটা উদয়ন মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে ৩.৯৯ পেয়ে এইচএসসি পাশ করেন। ২০১৭ সালে একই কলেজ থেকে স্নাতকে ৩.০৯ পেয়ে উত্তির্ন হয়।

২০১৮ সালে ২ বছর মেয়াদী স্নাতকোত্তরে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে ভর্তি হয় আয়শা। শুধু তাই নয় আয়শা ছয়মাস মেয়দী কম্পিউটার কোর্সকরে কম্পিউটার শেখেন এবং কয়েক প্রকার শেলাই জানে আয়শা। আয়শার বোন আরও বলেন স্নাতকোত্তরে ভর্তি হলেও পরিবারে অভাব আর টাকার সংকটে বই কিনতে পারছে না আয়শা।

প্রতিবন্ধী আয়শা অভিব্যাক্ত করে বলেন :-ঘড় পরিষ্কার করা, দরজায় তালা লাগানো রান্নাকরা সহ প্রায় সব কাজেই পারেন তিনি। তিনি বলেন আমি পড়ালেখা করে একটি বড় চাকরি করে পরিবারের দুঃখ ঘোচাতে চাই। আয়শা আরও বলে সুজগ শুবিধাপেলে প্রতিবন্ধীরাও দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। সেটাই আমি আমার মাধ্যমে প্রমান করে দেখাতে চাই।

প্রজন্মনিউজ২৪/রেজাউল/মোঃ নাজমুল

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ