আফগানিস্তানকে উড়িয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর, ২০১৯ ০৬:৩৯:৫৮ || পরিবর্তিত: ২১ নভেম্বর, ২০১৯ ০৬:৩৯:৫৮

আফগানিস্তানকে উড়িয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত বোলিং আর সৌম্য সরকারের অলরাউন্ডার নৈপুণ্যে আফগানিস্তানকে উড়িয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার আফগানিস্তাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। এদিন টস জিতে আগে বল হাতে নিয়ে সফরকারীদের নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট তুলে নিয়ে ২২৮ রানে আঁটকে দেয় স্বাগতিকরা। জবাবে ১০.১ ওভার  ৭ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের জয়ে বল-ব্যাটে হাতে দারুণ অবদান রাখেন সৌম্য সরকার। এ ডানহাতি পেসার লক্ষ্যটা ধরা ছোঁয়ার মধ্যে রাখতে ৫৮ রানে নেন ৩টি উইকেট। এদিকে ৪৮ রানে হাসান মাহমুদ ৩ উইকেট নিয়ে তাকে দারুণ সঙ্গ দেন। পরে ব্যাট হাতে ৫৯ বলে ৩ চার ও ৩ ছয়ে ৬১ রান করে দলে জয়ে বড় অবদান সৌম্য। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত করেন  ৬৮ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৫৯ রান। এদিকে ইয়াসির আলি ৫৬ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। অন্য প্রান্তে অপরাজিত ছিলেন আফিফ হোসেন ৩৬ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪৫ রানে।

ঘরের মাঠে বৃহস্পতিবার আগে বল হাতে আফগানদের শুরুতেই চেপে ধরেন হাসান মাহমুদ। এ পেসার ২৪ রানের মধ্যে সফরকারীদের তিন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পরই সৌম্য সরকার বল হাতে দেখান ঝলক। ইনিংসের ১২তম ওভারের শেষ বলে এ ডানহাতি স্বাগতিকদের এনে দেন চতুর্থ উইকেট।

দ্রুতই সফরকারীদের চার উইকেট তুলে নিলেও বাংলাদেশের জন্য মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে ছিলেন চারে নামা ডারউইস রসুলি। পঞ্চম উইকেটে এ ব্যাটসম্যান সামিউল্লাহ শেরওয়ানিকে নিয়ে গড়েন ৩৭ রানের জুটি। এরপর আরও বড় দুটি জুটি গড়েন তিনি। এরমধ্যে সেঞ্চুরিও তুলে নেন সফরকারীদের এ ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের শেষ ওভারে তাকে (১১৪) ফেরান সৌম্য সরকার। এর আগেও এ পেসার তারিক স্ট্যারিকজাইকেও তুলে নেন। যে কারণে আফগানদের ২২৮ রানে থামিয়ে দিতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

রান তাড়ায় বৃহস্পতিবার শুরুতেই ফর্মের তুঙ্গে থাকা মোহাম্মদ নাঈমকে হারায় বাংলাদেশ। তবে এদিন তার অভাবটা মোটেও বুঝতে দেননি সৌম্য সরকার ও নাজমুল হাসান শান্ত। এ দুই ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় উইকেটে প্রতিপক্ষ বোলারদের বিপক্ষে অনেকটাই সাবলীল ভাবে ব্যাট করেন। এ ধারাবাহিকতায় সৌম্য তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। এক পর্যায়ে তাদের ১০৭ রানের জুটি ভাঙে সৌম্যর বিদায়ে। তবে নাজমুল দারুণ খেলছিলেন। তবে সেটা আর বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ইনিংসের ২৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে এ বাঁহাতি ৫৯ রানে সাজঘরে ফেরেন। তার আগে অবশ্য স্বাগতিকদের জয়ের মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছেন।

শেষ দিকে ৩৬ বলে ঝড়ো ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪৫ রান করে অপরাজি থাকেন আফিফ। অন্যদিকে ইয়াসির আলি ৫৬ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।

শিরোপা লড়াইয়ে আগামি শনিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ।

প্রজন্মনিউজ২৪/জাহিদ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ