শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর, ২০১৯ ১১:০৮:৫০

শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তারা শ্রদ্ধা জানান।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পর সম্মিলিতভাবে সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনীপ্রধান অ্যাডমিরাল আবু মোজাফফর মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব এবং বিমানবাহিনীপ্রধান চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান শিখা অনির্বাণে।

এর আগে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং সরকারপ্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সেনানিবাসে পৌঁছলে তিন বাহিনীর প্রধান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার তাদের স্বাগত জানান। রাষ্ট্রপতি হামিদ শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় অভিবাদন জানায়। বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর।

এর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শহীদ সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় গার্ড অব অনার দেয়। এদিকে সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে `স্বাধীনতা যুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।

একই অনুষ্ঠানে ২০১৯-২০ সালে সশস্ত্র বাহিনীর শান্তিকালীন সেনা/নৌ/বিমান বাহিনী পদক এবং অসামান্য সেবা পদকপ্রাপ্ত সদস্যদের পদক দেয়া হবে। বিকেলে সেনাকুঞ্জে সম্প্রসারিত ও পুনঃনির্মিত সেনাকুঞ্জ উদ্বোধন এবং সেনাকুঞ্জ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিন বাহিনী প্রধান। সশস্ত্রবাহিনী বিভাগে তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায়। সেদিন থেকেই দিবসটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

প্রজন্মনিউজ২৪/মামুন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ