হাহাকারে ছেয়ে গেছে বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর, ২০১৯ ০৪:৫৮:২৫

হাহাকারে ছেয়ে গেছে বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে আসছে এলাকার পরিবেশ। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা নিহতদের হাতের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় শনাক্ত করছেন। এরপর স্বজনদের খবর দেয়া হচ্ছে মরদেহ নেয়ার জন্য। নিহতদের মরদেহ স্থানীয় বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে।

কেমন জানি হাহাকারে ছেয়ে গেছে বিদ্যালয়টার চারপাশ। মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন কারও বাবা, ভাই ও মা। দুর্ঘটনায় বাবা মুজিবুর রহমান ও মা কুলসুমা বেগমের মৃত্যুর খবর পেয়ে চাঁদপুর থেকে বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটে এসেছেন কাউসার। বাবা-মায়ের মরদেহ দেখে হাউ-মাউ করে কেঁদে ওঠেন তিনি। কাউসার বলেন, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও এলাকায় তাদের বাড়ি। বাবা মুজিবুর রহমান মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে খাতা-কলম ফেরি করে বিক্রি করতেন।

মঙ্গলবার উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে চাঁদপুরে ফিরছিলেন। কিন্তু বাড়ি আর ফেরা হলো না। আমি এতিম হয়ে গেলাম। উদয়ন ট্রেনের যাত্রী হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মদনমোরদ এলাকার শামীম হোসেন জানান, তিনি ও ভাই আল-আমিন এবং মামা মনু মিয়াকে নিয়ে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশন থেকে উদয়নে ওঠেছিলেন। চট্টগ্রামে তারা তিনজনই রাজমিস্ত্রির কাজ করেন।

ট্রেনে আসন না পাওয়ায় বগির দু দরজায় তারা দাঁড়িয়েছিলেন। হুট করে বিকট শব্দ হলে তিনি মামাকে নিয়ে লাফিয়ে নিচে পড়ে যান। এরপর খুঁজতে থাকেন ভাই আল-আমিনকে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ট্রেনের চাকার নিচ থেকে তার মরদেহ বের করা হয়। ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে মা ভেঙে পড়েছে।  পিবিআই নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করার পর এক এক করে তাদের স্বজনদের খবর দিচ্ছেন মরদেহ নেয়ার জন্য। মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন স্বজনরা।

প্রসঙ্গত, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাত পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রজন্মনিউজ২৪/মামুন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ