রোহিতের ঝড়ে সিরিজে দুই দলের সমতা

প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০২:২২:৪৬ || পরিবর্তিত: ০৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০২:২২:৪৬

রোহিতের ঝড়ে সিরিজে দুই দলের সমতা

আজ হারলেই হারবে সিরিজ, আর সিরিজে টিকে থাকতে হলে জয়ের বিকল্প নেই ভারতের সামনে। তাই জয়ের বিকল্প ছিল না তাদের সামনে। অবশেষে সিরিজে পিছিয়ে থাকা ভারত ফিরল সমতায়। দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে আট উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। অধিনায়ক রোহিত শর্মার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে টাইগারদের বিপক্ষে সহজ জয় তুলে নেয় টিম ইন্ডিয়া।

শুরুতে বাংলাদেশের দুই ওপেনার শুরুটা দারুণই করেছিলেন। তাদের জুটিতে পর ইনিংসে আর বড় জুটি হয়নি। তবে মাঝ পথে কিছুটা হোঁচট খেলে, বড় টার্গেটের আশা জাগিয়েও ১৫৩ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

পরে ভারতীয় দুই ওপেনারও করেন উড়ন্ত সূচনা। সিরিজে টিকে থাকার ম্যাচে বেশ সতর্ক থাকলেও ১৫৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই হাত খুলে খেলছে রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। আর এই দুই জনের ব্যাটে চড়েই জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে যায় ভারত।

৩১ রানে ধাওয়ান ফিরে গেলেও দলের জয়ের ভিত দাঁড় করিয়ে তারপরই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অধিনায়ক রোহিত। দুইজনকেই শিকার করেন আমিনুল। ৪৩ বলে ৬ চার আর ৬ ছক্কায় ৮৫ রান করেন রোহিত। শেষ পর্যন্ত ২৬ বল হাতে রেখে আইয়ার-রাহুলের ব্যাটে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় তারা।

এর আগে নাঈম-সৌম্য-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ভর করে রোহিতদের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিয়েছে টাইগাররা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান করে বাংলাদেশ। ৩০ রানরে ঘরে থেমে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। চাহালের তৃতীয় শিকার হয়েছেন তিনি। ২১ বলে খেলেছেন ৪ চারে ৩০ রানের ইনিংস। তবে চার উইকেট হারিয়ে দলের রানের গতি যখন কমে গেছে তখনই হাত খুলে খেলার চেষ্টা করেছিলেন তরুণ তারকা আফিফ। কিন্তু তাকে বেশি দূর যেতে দেয়নি খলিল। ব্যক্তিগত ৬ রানেই আটকে দেয় আফিফকে।

মুশফিকের বিদায়ের পর পরই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান সৌম্য। ২০ বলে ২ চার আর ১ ছক্কার দুর্দান্ত ইনিংস খেলে চাহালের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। সৌম্যের বিদায়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ।

তার ব্যাটে চড়েই প্রথম ম্যাচে জয় পায় বাংলাদেশ দল। তাইতো আজও মুশফিকুর রহীমের ওপরই আশা-ভরসা ছিল বাংলাদেশ দলের সমর্থকদের। কিন্তু আজ আর হলো না। ব্যক্তিগত ৪ রানে চাহালের বলে পান্ডিয়ার তালুবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মুশফিক।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের স্ট্রাইকে এসেই খলিল আহমেদকে পর পর তিনটা চার মারেন নাঈম। এতে বেড়ে যায় বাংলাদেশের রানের গতি। লিটনকে সঙ্গে করে সে গতিতে এগিয়ে যেতে থাকে টাইগাররা। ৬০ রানে জুটি ভাঙার পর সৌম্যর সঙ্গে গড়েন ২৩ রানের জুটি। তারপরই সুন্দরের বলে মিড উইকেটে খেলতে এসে ধরা পড়েন আইয়ারের হাতে। সাজঘরে ফেরার পূর্বে ৩১ বলে খেলেন ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস।

প্রজন্মনিউজ২৪/রেজাউল

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ