প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর, ২০১৯ ১২:২১:১৭
দীর্ঘদিন ধরেই ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। তার মধ্যেও লেখালেখি করে গেছেন নিয়মিত। তবে আর লড়াই চালিয়ে যেতে পারলেন না। তিনি ভারতের প্রখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক নবনীতা দেবসেন। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। কলকাতার হিন্দুস্তান পার্কের বাসভবনে ৮১ বছর বয়সে তাঁর জীবনাবসান ঘটে। কবি, সাহিত্যিক, লেখক, প্রাবন্ধিক নবনীতার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগৎ।
শুক্রবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে নবনীতার। তাঁর বাড়িতে কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। তালাবন্ধ করে রাখা হয় গেট। পরিবারের স্বজনরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতেই রাখা হয়েছে তাঁর মরদেহ।
নবনীতা দেবসেনের মৃত্যুতে টুইটের পাশাপাশি শোকবার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে লেখেন, ‘বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ নবনীতা দেবসেনের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। অসংখ্য গল্প, কবিতা, রম্যরচনা ও উপন্যাসের স্রষ্টা নবনীতা দেবসেন পদ্মশ্রী, সাহিত্য অ্যাকাডেমি, কমলকুমারী জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করতেন। তাঁর প্রয়াণে সাহিত্য জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। আমি নবনীতা দেবসেনের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
নবনীতা দেবসেনের প্রয়াণে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও শোক প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও। শোক জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী এবং বিমান বসু। এছাড়ও শোক প্রকাশ করেছেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব গুহ, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়সহ আরও অনেকে।
সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ নবনীতা দেবসেন জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯৩৮ সালের ১৩ জানুয়ারি কলকাতায়। তিনি কবি রাধারানি দেবী ও নরেন্দ্রনাথ দেবের কন্যা। ছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেনের প্রথম স্ত্রী। তাদের বিয়ে হয় ১৯৫৮ সালে। ১৯৭৬ সালের দিকে বিচ্ছেদ ঘটলে নবনীতা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে চলে যান। অধ্যাপনা করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে। ছিলেন আমেরিকার কলোরাডো কলেজের তুলনামূলক সাহিত্যের মেট্যাগ প্রফেসর। এ ছাড়া অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাধাকৃষ্ণাণ স্মারক লেকচারারও ছিলেন।
নবনীতা একাধিক ভাষায় দক্ষ ছিলেন। বাংলা, ইংরেজি ছাড়াও হিন্দি, মারাঠি, জার্মানি ভাষা ছিল তাঁর দখলে। কবিতা ও গদ্য, উভয়ক্ষেত্রেই তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন। ভ্রমণকাহিনি রচনাতেও তাঁর দক্ষতা অনস্বীকার্য। ১৯৫৯ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রথম প্রত্যয়’। আর ১৯৭৬ সালে প্রথম উপন্যাস ‘আমি অনুপম’।
এ ছাড়া সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তিনি লেখালেখি করেছেন। তিনি দীর্ঘ দিন ‘রামকথা’ নিয়ে কাজ করেছেন। সীতার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে রামকথার বিশ্লেষণ করেছেন। ‘চন্দ্রাবতী রামায়ণ’ তাঁর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
‘নটী নবনীতা’ বইয়ের জন্য তিনি ১৯৯৯ সালে পেয়েছেন সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার। ২০০০ সালে পেয়েছিলেন ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘পদ্মশ্রী’। মৃত্যুকালে রেখে গেছেন দুই কন্যা নন্দনা ও অন্তরাসহ অসংখ্য স্বজন এবং গুণগ্রাহী।
প্রজন্মনিউজ২৪/রেজাউল
ফুলকুঁড়ি আসর খুলনা মহানগরী শাখায় চৌকসদের নিয়ে ইফতার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
সিলেটে সর্বজনীন পেনশন স্কীমের উদ্বোধন
সিলেট নগরীর আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে, উদ্বোধনকালে সিসিক মেয়র
বেরোবিতে ইয়ুথ জার্নালিস্ট ফোরামের কর্মশালা ও ইফতার
বগুড়ায় রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক কল্যাণ ইউনিয়নের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
মেহেদির রং শুকানোর আগে প্রাণ গেল তরুণের
ঘরের কাজে ব্যস্ত মা, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ধুনট থিয়েটারের আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত